অনলাইন ডেস্ক ,জি নিউজ ঃ-ইন্দোনেশিয়ার নর্দার্ন সুলায়েসি দ্বীপের গোরনতালো প্রদেশের গভর্নর রাসলি হাবিবি। অফিসের কাজে চান কর্মকর্তাদের পূর্ণ মনোযোগ। আর অফিসের পরিবেশকেও রাখতে চান নিস্কুলুষ। তাই তিনি জারি করেছেন আজব এক নিষেধাজ্ঞা। তিনি সরকারী অফিসগুলোতে বড় কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নারীদেরকে বাদ দিতে আদেশ দিয়েছেন। তারা মনে করেন, সুন্দরী সেক্রেটারিরাই বসের সংসারের বারোটা বাজান। এই গভর্নরের দাবি, অফিসগুলোতে অনেক কর্মকর্তাই সেক্রেটারির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। যার ফলে তাদের স্ত্রীর সাথে তৈরি হচ্ছে দুরুত্ব। এই কর্মকর্তারা অফিশিয়াল ট্রিপে তাদের স্ত্রীকে না নিয়ে সেক্রেটারিকে নিয়ে যেতে আগ্রহী। সেক্রেটারিকে উপহার দেন দামী দামি সব পারফিউম, ব্র্যান্ডের ব্যাগ। কিন্তু তাদের স্ত্রীরা কিছুই পান না। তিনি আরো বলেন, এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ করার লক্ষে তিনি ‘আদেশ জারি’ করেছেন যেন তারা নারী সেক্রেটারির জায়গায় পুরুষ সহকারী নিয়োগ দেন। আর নারী সহকারী যদি প্রয়োজন পড়েই তাহলে তাকে হতে হবে বয়স্ক, যাদের প্রতি পুরুষরা আকৃষ্ট হয় না। ইন্দোনেশিয়ার এই প্রদেশটিতে অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তার নারী সেক্রেটারি রয়েছেন। গভর্নর হাবিবি বলেন ”এই নির্দেশ পালন না করলে কাউকে শাস্তি দেয়া হবে না তবে আমার বিশ্বাস তারা আমার কথা অমান্য করবেন না। গত বছর রাসলি হাবিবির প্রশাসন প্রায় ৩২০০ চাকুরের মাসিক বেতন তাদের স্ত্রীদের একাউন্টে পাঠানোর নিয়ম চালু করেছিলেন, যেন এইসব পুরুষ স্ত্রীদের প্রতি অনুগত থাকে এবং অন্য নারীর সাথে সম্পর্কে না জড়ান।