শিশুদের যুদ্ধ ও সংঘর্ষের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে এই সংস্থা।
নির্বিচার বোমা বর্ষণের ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সার্ভিসগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এর ফলে খাদ্য ও অপুষ্টির শিকার ইয়েমেনের শিশুদের নিরাপত্তা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ছে বলে ইউনিসেফ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছিলেন, ইয়েমেনে সামরিক অভিযানের ফলে বহু সংখ্যক বেসামরিক জনগণের মৃত্যুর নানা রিপোর্ট শুনে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গত সোমবার সৌদি বিমান হামলার ফলে ইয়েমেনের একটি শরণার্থী শিবিরের ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর তিনি ওই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন।
বুধবার রাতেও পশ্চিম ইয়েমেনে সৌদি বোমা বর্ষণে অন্তত ৩৭ জন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হন। এদিকে ইউরোপীয় জোটের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ও ইয়েমেনের বেসামরিক জনগণের ওপর চলমান সৌদি হামলার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
ইউরোপীয় জোটের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক কমিশনারও ইয়েমেনের বেসামরিক জনগণ ও বিশেষ করে দেশটির শিশুদের ওপর যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাদের যৌথ বিবৃতিতে ইয়েমেনের একটি শরণার্থী শিবিরের ওপর সৌদি হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।খবর:রেডিও তেহরান, সোমবারের ওই হামলায় ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হন।