অনলাইন ডেস্ক:- পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী কর্মীরা গত বছর নিজদের দেশে পাঠিয়েছেন১০ হাজার কোটি ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা । মঙ্গলবার প্রকাশিত এক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। মারকাজ নামে পরিচিত কুয়েত অর্থনৈতিক কেন্দ্র এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মারকাজের অর্থনৈতিক গবেষণা বিভাগের প্রধান রাঘু মানদাগোয়াথার বলেছেন, ২০১০ সালে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী কর্মীরা যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছিলেন গত বছর পাঠিয়েছেন তার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে অর্থ।
পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসিভুক্ত বাহরাইন, কুয়েত,ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আড়াই কোটি প্রবাসী মানুষ বসবাস করেন। এ সংখ্যা এ দেশগুলোর নাগরিকদের সমপরিমাণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল এবং বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত অর্থ পিজিসিসিভুক্ত ছয় দেশের যৌথ জিডিপি’র ৬.২ শতাংশ। সাধারণ ভাবে জিডিপি বলতে একটি এলাকার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে বোঝান হয়। কোনো দেশের জিডিপি বলতে বোঝান হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশটির ভেতরে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মোট বাজারমূল্য । এই ছয় দেশের যৌথ জিডিপি’র পরিমাণ ১.৬ট্রিলিয়ন ডলার।
কিন্তু তুলনামূলক ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনে বসবাসরত প্রবাসী কর্মীরা যথাক্রমে দেশ দু’টির জিডিপি’র ০.৭ এবং ০.৮ অর্থ নিজ নিজ দেশে পাঠিয়েছেন।
বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের এ প্রতিবেদনের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে এক কোটি প্রবাসী রয়েছেন এবং তারা চার হাজার চারশ’ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ নিজ নিজ দেশে পাঠিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাঠানো হয়েছে দুই হাজার নয়শ’ কোটি ডলার। এ ছাড়া, কুয়েত থেকে ১২০০ এবং কাতার থেকে সাড়ে নয়শ’ কোটি ডলার পাঠানো হয়েছে।
পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে বসবাসকারী প্রবাসী কর্মীদের বেশির ভাগই ভারত, মিশর, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিক।খবর:রেডিও তেহরান,এ ছাড়া এ সব দেশে ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা এবং ইয়েমেনের নাগরিকও বসবাস করেন। পারস্য উপসাগরীয় কোনো দেশই বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয় না।
উপসাগরীয় ৬ দেশের প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১০,০০০ কোটি ডলার
Share This