এমএইচ ৩৭০ হয়তো কোথাও নিরাপদে অবতরণে করেছে

biman 23আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- ভারত মহাসাগরে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অনুসন্ধানের পর একদল তদন্তকারী এখন এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন যে, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ যাত্রীবাহী বিমানটি হয়তো পৃথিবীর কোনো স্থানে নিরাপদে অবতরণ করেছে। আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দলের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ স্ট্রেইট টাইমস’ আজ (বুধবার) জানিয়েছে, কর্মকর্তারা এখন এ সম্ভাবনা নিয়ে সামনে এগুতে চান যে, নিখোঁজ জেট বিমানটি ভারত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়নি বরং কোনো অজ্ঞাত স্থানে নিরাপদে অবতরণ করেছে। তদন্তকারী সূত্রগুলো দৈনিকটিকে জানিয়েছে, “এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের এক টুকরা ধ্বংসাবশেষও খুঁজে না পাওয়ায় এখন এ সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না যে, কোথাও এটি অবতরণ করেছে। অবশ্য, যখন ২০টিরও বেশি দেশ তল্লাশি কাজে অংশ নিচ্ছে তখন বিশ্বের কোনো একটি দেশের পক্ষ থেকে বিমানটিকে লুকিয়ে রাখার সম্ভাবনাও অর্থহীনই মনে হয়।” মালয়েশিয়ার দৈনিকে এমন সময় এ খবর প্রকাশিত হলো যখন এক ডজনেরও বেশি বিমান ও জাহাজ এখনো হারিয়ে যাওয়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এর আগে রাশিয়ার একটি দৈনিক দাবি করেছিল, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ বিমানটি আফগানিস্তানের কান্দাহারে অবতরণ করেছে এবং এর যাত্রীরা আশপাশের গ্রামগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। অবশ্য এ খবরের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। গত ৮ মার্চের প্রথম প্রহরে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমান ২৩৯ জন আরোহীসহ নিখোঁজ হয়ে যায়। কিন্তু প্রায় দেড় মাস পরও বিমানটির কোনো খোঁজ না পাওয়ায় এটির আরোহীদের জন্য ‘মৃত্যু সনদ’ ইস্যু করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা। তারা গত রোববার বলেছেন। খবর-রেডিও তেহরান এর, বিমানটির যাত্রীদের স্বজনরা যাতে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন সেজন্য ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন তারা।

Exit mobile version