এরপর প্রায় ৮ মাস ধরে মাসে কমপক্ষে ২-৩ বার করে সে ধর্ষণ করে আসছিল। এর আগে একই কায়দায় সে ওই কলেজ ছাত্রীর বড় বোনকেও ৫-৬ মাস ধর্ষণ করে। কিন্তু চাকরি না হয় এ আশঙ্কায় সে কখনও প্রতিবাদ করেনি। দীর্ঘ ৮ মাস নীরবে যৌন নির্যাতন সহ্য করার পরও চাকরি না দেয়ায় কলেজছাত্রী প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ঘটনাটি উল্লেখ করে এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। একই সঙ্গে ঘুষ বাবদ দেয়া ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টের একজন আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে এলজিইডির অভ্যন্তরে তোলপাড় শুরু হয়।
ঘটনা জানার পর এলজিইডির কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন হারুন নানা মাধ্যমে অভিযোগকারী কলেজছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন হারুন বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে ওই মেয়ে দু’টিকে আমি সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। ৭-৮ মাস ধরে তাদের সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও ঘুষ নেয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে সহযোগিতার ধরন এবং তাদের দীর্ঘ যোগাযোগের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মনির হোসেন হারুন।
এদিকে ধর্ষিতাদের একজন বলেন, হারুন কাকা চাকরির দেয়ার ফাঁদে ফেলে আমাদের দুই বোনের সর্বনাশ করেছেন, ইজ্জত লুটে নিয়েছেন। আমরা তার কন্যার সমান হলেও তিনি আমাদের ছাড়েননি। পৃথিবীতে এমন মানুষ দ্বিতীয়টি আছে বলে আমাদের জানা নেই। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।