কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান – গণজাগরণ মঞ্চ

gnewsbd.netঢাকা প্রতিনিধি , জি নিউজ ঃ জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর মধ্যে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে মতপার্থক্য দূর হয়েছে। মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে আগামী ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মিছিলসহ স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি দিয়েছেন। মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত কিছু সংগঠন প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছিল। পরে তারা এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেও দাবি আদায়ে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ শেষে ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে এই মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল। মূল মঞ্চে ইমরান এইচ সরকার ৪ এপ্রিল বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ, সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং একই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

কর্মসূচি ঘোষণা করার পরপরই কিছু বাম ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মঞ্চের সামনে থেকে কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে স্লোগান দিতে থাকেন। শহীদ জাহানারা ইমাম স্কোয়াডের পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে তারা একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও এবং আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই কর্মসূচিতে বাধা দিলে শাহবাগে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করবে বলেও ঘোষণা দেয় তারা।
কিন্তু রাত ১০টা ১০ মিনিটে পাঠানো একটি অনানুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মূল মঞ্চের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচির দাবি জানানো হয়।

গণজাগরণ মঞ্চ ২১ ফেব্রুয়ারির জামায়াত নিষিদ্ধের আলটিমেটামের পর ২৬ মার্চ যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।’ তবে সরকার ৩৫ দিনের দীর্ঘ সময় পাওয়ার পরেও কোনো অর্থবহ ও সুস্পষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা না করায় শাহবাগে ২৬ মার্চের সমাবেশের স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত থেকে আগামী ৪ এপ্রিল বেলা ১১টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দাবি করে স্লোগান দেওয়া হয়। তারই জের ধরে শাহবাগে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসা তারুণ্যের প্রতিনিধিরা মিছিল করে আলটিমেটামসহ পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি দাবি করেছেন।

এর আগে গতকাল বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত মূল সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার ২৬ মার্চের মধ্যে গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় এ আচরণ গণমানুষের জাগরণকে অশ্রদ্ধা করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের ছয় দফা দাবিকে গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করার যে স্পর্ধা সরকার দেখিয়েছে, তা নজিরবিহীন।

জি নিউজ/বার্তা /২৭-০৩-২০১৩

 

Exit mobile version