আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ-আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটিবিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী হামলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেসংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ১৩ নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কাবুলের হাইসিকিউরিটি জোনের পাঁচ তারা সেরিনা হোটেলে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। এই হোটেলথেকে মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ।আফগানিস্তানের উপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব সালাঙ্গিজানিয়েছেন, ১৮ বছরের কম বয়সী চার আত্মঘাতী হামলাকারী হোটেলে অতিথি হিসেবেএসেছিল। তারা নিজেদের মোজার ভেতরে ছোট্ট বন্দুক লুকিয়ে রেখে শৌচাগারে আশ্রয়নিয়েছিল। পরে হোটেলের রেস্টুরেন্টে বিক্ষিপ্তভাবে গুলিবষর্ণ শুরু করে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা জবাব দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায়তিন ঘণ্টা ধরে গুলি বিনিময় হয়।এ ঘটনায় তিনজন নারী, দু’জন শিশু ও চারজনবিদেশি নিহত হন।পরে নিরাপত্তায় বাহিনীর হামলায় চার আত্মঘাতী তরুণ মারাযায়।হামলার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী দ্রুতঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারা হোটেলটি চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে। হামলার সময়হোটেলটিতে বহু বিদেশি অতিথি অবস্থান করছিলেন। হামলা চলাকালে হোটেলেরআতঙ্কিত অতিথি এবং কর্মচারীরা বেসমেন্টে আশ্রয় নেন।এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে তালেবানমুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘এই হামলা এটিই প্রমাণ করে যে, আমরাচাইলে যে কোনো জায়গায় হামলা চালাতে পারি।‘তিনি জানান, ভেতর থেকে সহযোগিতা নিয়ে বন্দুকধারীরা গোপন রাস্তা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেছিল।সেরেনা হোটেলটি কাবুলের অন্যতম নিরাপদস্থান বলে পরিচিত। এটির প্রধান ফটকে রয়েছে মেটাল ডিটেকটর ব্যবস্থা। এছাড়াহোটেলে প্রবেশ করার সময় অতিথিদের নানাভাবে তল্লাশী করা হয়ে থাকে। তাইআফগানিস্তানে ভ্রমণকালে বিদেশিরা সাধারণতঃ এখানেই অবস্থান করে থাকেন।এর আগে গতকাল আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয়নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরের একটি থানায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় দশপুলিশ নিহত হয়েছে।সূত্র-রেডিও তেহরান,নিহতদের মধ্যে জেলা পুলিশের প্রধানও রয়েছেন।