কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২
জি-নিউজ
জি নিউজ, প্রতিবেদকঃ- একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয়- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে হাজির করার পর বিচারকরা এজলাসে বসেন। ট্রাইব্যুনাল প্রধান ওবায়দুল হাসান দুই পক্ষের আইনজীবীদের ধন্যবাদ দিয়ে মামলার ইতিবৃত্ত সংক্ষেপে তুল ধরার পর ১১টা ২১ মিনিটে ২১৫ পৃষ্ঠার রায়ের ৬২ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্তসার পড়া শুরু করেন, ট্রাইব্যনালের সদস্য বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়ার পর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান চূড়ান্ত আদেশ ঘোষণা করেন। আদেশ শুনে উঠে দাঁড়িয়ে কামারুজ্জামান বলেন, রং জাজমেন্ট। সবাইকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জনাকীর্ণ আদালতে রায় ঘোষণা করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরাই আল বদর, আল শামস নামের বিভিন্ন সশস্ত্র দলে যোগ দিয়ে সারা দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটায় বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়। কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের চতুর্থ রায় হলো। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বহু প্রত্যাশিত বিচার কাজ শুরু করেন।