অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে ঃবরিশালের গৌরনদী কামেল পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলের মহাউৎসব চলছে। নকলের নয়া স্টাইল হিসেবে মোবাইলফোন ব্যবহার ও প্রকাশ্যে বই দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার পরীক্ষার দ্বিতীয়দিনে অসদুপায় অবলম্বন ও নকল সরবরাহের অভিযোগে এক শিক্ষকসহ তিন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট। কেন্দ্র সচিব ও সংশ্লি¬ষ্টসূত্রে জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদী কাসেমাবাদ আলীয়া সিদ্দিকীয়া কামেল মাদ্রাসায় গত ২১ জানুয়ারি কামেল পরীক্ষা শুরু হয়। এবারে কামেল পরীক্ষায় ৯৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার দ্বিতীয়দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার হাদীস ২য়পত্র পরীক্ষায় অবাধে নকলের মহোৎসব চলার অভিযোগ করেছেন পরীক্ষা তদারকী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। তারা জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলফোন ব্যবহার ও প্রকাশ্যে বই দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার আকস্মিক কেন্দ্র পরিদর্শনে যান কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদ হোসেন। তারা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নকল সরবারহের অভিযোগে মাদ্রাসার হল সুপার মোঃ জামাল হোসেনসহ তিন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে থেকে নকল কাজে ব্যবহৃত ৫৫টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব আবু সাঈদ মোঃ কামেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নকলের মহোৎসব কথাটি ঠিক নয়। তবে গণটোকাটুকি হয়ে থাকতে পারে।