ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ১৩.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৮০। ঠিক তখনই এলো ঝড়। খানিক সময়ের মধ্যেই সবুজ মাঠ ঢেকে গেল হীরার মতো শিলায়। বৃষ্টি আইনে এ সময়ে জিততে হলে ৪ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান থাকতে হত ১০৭। এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আবারও লাসিথ মালিঙ্গার অধীনে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কা দল। ব্যাটিংয়ের শুরুটাও হয়েছিল ঝড় দিয়েই। প্রথম চার ওভারের মধ্যে ৪০ রান তুলে নিয়ে বড় স্কোরের দিকেই হাঁটতে থাকে শ্রীলঙ্কা। লেগ স্পিনার স্যামুয়েল বদ্রির এক ওভারেই ওঠে ১৫ রান। কিন্তু, ৪১ রানের মাথায় কুশাল পেরেরা ২৬ ও কোন রান না করেই মাহেলা জয়াবর্ধনে ফিরে গেলে আস্তে আস্তে খোলসবদ্ধ হয় শ্রীলঙ্কা। সপ্তম ওভারে কুমার সাঙ্গাকারার বিদায় আরও বিপদ বাড়িয়ে দেয়। সেখান থেকে দেখে শুনে ‘নব-যাত্রা’ শুরু করেন থিরিমান্নে ও তিলকরত্নে দিলশান। ১৪ তম ওভারে দিলশান ৩৯ বলে ৩৯ রানের এক ইনিংস খেলে বিদায় নিলেও ছিলেন থিরিমান্নে।ঝড়ের সূচনাটা করে দিয়ে যান থিরিমান্নে। থিরিমান্নে আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ব্যাটিংয়ে শেষ ছয় ওভারে আসে ৬৭ রান। ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের স্কোর করে ফেললো শ্রীলঙ্কা।১৭ তম ওভারের শেষ বলে যখন লাহিরু থিরিমান্নে আউট হয়ে ফিরলেন তখনও রানটা মাত্র ১২১। সেখান থেকেও যে ১৬০ রানে পৌঁছালো লঙ্কা বাহিনী সেটা তো ওই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস-ঝড়ের কল্যাণে। ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে যখন আন্দ্রে রাসেলের বলে ব্রাভোর হাতে ধরা পড়লেন তখন ম্যাথুসের নামের পাশে তিনটি চার ও দুইটি ছক্কায় সাজানো ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস। তার আগে ৩৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে গেছেন থিরিমান্নে।সূত্র- রেডিও তেহরান ।