নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নাশকতার ভিত্তিহীন অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিচার করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হচ্ছে। আজ যারা তার বিচারের জন্য তদবির করছেন, পরবর্তীতে তাদেরই বিচারের আওতায় আনা হবে।
কয়েকজন মন্ত্রীকে ‘পরগাছা’ ও ‘ভিত্তিহীন’ মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ইনুর মতো পরগাছাদের হুঙ্কারে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ভয় পায় না। ঈদের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারে বিশেষ ট্র্যাইবুনাল গঠন করা হবে বলে ইনু যে হুমকি দিয়েছেন, তাতেও বিএনপি ভয় পায় না। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনকে যদি হয়রানি করা হয়, তা দেশের মানুষ কখনও মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, যে অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে বিচারের হুঙ্কার দেয়া হচ্ছে; সেই অভিযোগটিই ভিত্তিহীন। বরং নাশকতার সাথে কারা জড়িত, কারা এর হোতা, আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করলেই তা প্রমাণিত হবে।
সৈয়দ আশরাফের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, একজন মন্ত্রী নিয়মিত মন্ত্রণালয়ে আসেন না তাই তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অথচ সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীরা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন, যা শোভনীয় নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দুই মেয়াদে সরকার গঠন করার পর বিএনপি ও দেশের সুশীল সমাজ দাবি করেছিল, সরকারের মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। কিন্তু আজ পর্যন্তও তা করা হয়নি। তিনি সরকারে মন্ত্রীরা যে সৎ তা প্রমাণের জন্য সব মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশের দাবি জানান।
বিএনপির অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, ষাটের দশকে আইয়ুব সরকারের নিপীড়নে আওয়ামী লীগও বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে ছিল। কিন্তু মানুষের ভালোবাসায় তারা আবারো ফিরে এসেছে। বিএনপিও ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলকে এভাবে দমন করে যদি সরকার মনে করে স্বস্তিতে আছে, তা ভুল। আসলে তারা স্বস্তিতে নেই। আওয়ামী লীগ পুরনো দল হিসেবে তাদের জানা আছে, এভাবে দমন-পীড়ন, জেল-জুলুম করে বিএনপিকে শেষ করা যাবে না। এমন চলতে থাকলে জনগণের ক্ষোভের আগুন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
রিপন বলেন, প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে মানুষ স্বজনদের সাথে মিলিত হতে ঘরমুখো হন। কিন্তু তাদের আসা-যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মানুষ যাতে নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন ও আবার কর্মস্থলে ফিরতে পারে, সেজন্য সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পর ম্যাজেস্ট্রেসি তদন্ত কমিটি করে কোনো লাভ নেই। এর চেয়ে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এ সংবাদ সম্মেলনে যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।