মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ইনু বলেন, খালেদা জিয়া ধোয়া তুলশি পাতা নন, তিনি একজন ঠান্ডা মাথার খুনি।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম এম আলম রেডিও তেহরানকে বলেন, বাংলাদেশে খুনের রাজনীতির অন্যতম প্রবক্তা হচ্ছেন হাসানুল হক ইনু নিজে।
তিনি বলেন , জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতেই ইনু বেগম জিয়া সম্পর্কে আবোল তাবোল মন্তব্য করছেন।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে ইনু আরো বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়াকে আদালতের মুখোমুখি হতে হবে। আদালত তাকে মুক্তি দিলে নির্বাচন করতে পারবে, আর আদালত মুক্তি না দিলে্ নির্বাচন করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা অপরাধী এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করছি। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীতো মামলার আসামি নয়। যারা অপরাধের সাথে জড়িত তারাই শুধু মামলার আসামি হয়েছে।
আগাম কোনো নির্বাচন হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, আগাম কোনো জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা নাই। ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, আন্দোলনের সময় বাসে আগুন দিয়েছে ও পেট্রল বোমা মেরেছে পুলিশ। খালেদা জিয়ার বক্তব্য কত বড় মিথ্যাচার তা আপনারা সাক্ষি। খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির দুইদিন আগ থেকে বাসে আগুনের সূচনা করেছেন।
এর আগে সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির নির্বাচন। সেই নির্বাচনে গণতন্ত্রের অচল মাল সচল করার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ারও অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।”
জিয়ার বিরুদ্ধে তথ্যমন্ত্রীর ধারাবাহিক প্রচারণার ব্যাপারে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার সম্পাদক ড: রেজোয়ান সিদ্দিকী বলেন, নিজের চাকুরী বাঁচাতে ইনু এসব করছেন। তিনি মনে করেন সময়ের পরিবর্তনের পর ইনুদের মতো রাজনীতিবিদদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ওদিকে, গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত খালেদা জিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছি, সংবিধানের অপব্যাখ্যা করে দেশ- বিদেশের কাছে বিচার বিভাগকে হেয় করবেন না।খবর: রেডিও তেহরান, উল্টাপাল্টা কথা বলে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে আইন তার নিজের গতিতে চলবে। এর ফলে কোনো সংকট সৃষ্টি হলে তার জন্য আপনি দায়ী থাকবেন।