জি নিউজ ঃ বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলো ও ধর্মীয় নেতাদের আলোচনায় বসার আহŸান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। গত ৫ ও ৬ মে বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংস কর্মকান্ডে তিনি চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাও ব্যক্ত করেছেন। শুধু তাই নয় দেশের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টিকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
মহাজোট সরকারের শেষ বছরের শুরু থেকেই সারা দেশে হরতাল, তান্ডব, সহিংসতা ও নৈরাজ্যের চিত্র নিত্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশব্যাপী ইতোমধ্যেই ঘোলাটে পরিবেশেরও সৃষ্টি করেছে। রাজনীতির বাতাসে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি ও নির্বাচন প্রশ্নে অনিশ্চয়তার ধূম্রজাল ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহŸান, বিরোধীদলীয় প্রধানের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, সরকারের পক্ষ থেকে তা প্রত্যাখ্যান এসবই রাজনীতিতে অশুভ শক্তির অশনি সংকেতের বাতাস।
বাংলাদেশে বর্তমানে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের ইস্যু, যুদ্ধাপরাধের বিচার, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ এবং হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা কেন্দ্রিক রাজনৈতিক টানাপড়েনের মাঝে রাজনীতিতে কোনো অশুভ শক্তির আবির্ভাব একটি দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।
দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার ¯^ার্থে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। নির্বাচন অংশগ্রহণ করলেই রাজনৈতিক দলগুলো সরকার গঠন হবে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে। এই মুহ‚র্তে সরকার ও বিরোধী দলের উভয়েরই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রশ্নে ও নির্বাচন-পূর্ব দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের ¯^ার্থে রাজনৈতিক ছাড় দেয়ার মানসিকতার মাধ্যমে বিশেষ নজির স্থাপন করা উচিত বলে মনে করে পুরো দেশবাসী।
এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বই অপেক্ষাকৃত বেশি কারণ সরকার সহযোগিতা না করলে বিরোধী দলের পক্ষে নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক পরিবেশের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব না। অন্যদিকে বিরোধী দলও বিরোধিতার নামে বিরোধিতা না করে সংলাপ, আলোচনা বা সমঝোতার দিকে এগিয়ে গেলেই একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে। সংলাপের বিষয় সুর্নির্দিষ্ট করেই আলোচনার টেবিলে বসতে হবে উভয় দলকেই না হলে পুরো প্রক্রিয়াই ভেস্তে যাবে।
সকল অশনি সংকেত ও দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশকে নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক পরিবেশের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য জাতীয় ঐক্য জরুরি তবে সেজন্য সরকার ও প্রধান বিরোধী দলের আন্তরিকতা আর ছাড় দেয়ার মানুষিকতাই মুখ্য হিসেবে বিবেচিত বলে মনে করেণ বিশিষ্টজনেরা।
জহিরুল ইসলাম রেমন/ ডেপুটি এডিটর/ জি নিউজ