ডেস্ক রিপোর্ট, জি নিউজঃ নিজেকে প্রকাশ করা মানুষের সহজাত একটি প্রবণতা। নিজের চিন্তা বিনিময় করার বৈশিষ্ট মানুষের মাঝে চিরন্তন। আবার নিজেকে প্রকাশের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকতা অবস্থা সম্পর্কে অন্যকে জানানোর প্রবণতাও মানুষের সহজাত। জন্মের পর থেকেই জানার কৌতুহলে উদগ্রীব হয়ে থাকে প্রতিটি মানুষ। তরুণ বয়সে এ তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। দেশ জাতি ধর্ম নিয়ে জানতে চাওয়ার সাথে নিজের চিন্তা প্রকাশের ইচ্ছাও জাগে। আর এর বহি:প্রকাশ ঘটানোর শক্তিশালী মাধ্যম হচ্ছে গণমাধ্যম।
খ্রীস্টপূর্ব দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে সর্বপ্রথম সংবাদ প্রকাশের গুরুত্ব অনুভব করে চাইনিজরা। এসময় সংবাদপত্রে তরুণদের অংশগ্রহণ তেমন একটা ছিলনা। তরুণদের মধ্যে লেখা-লেখির আগ্রহ থাকলেও তার বহি:প্রকাশ করা ছিল অত্যান্ত কঠিন। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে সময়। সংবাদপত্রে তরুণ লেখকদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
গত দুই দশকে গণমাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তরুণদের জন্য মত ও পথ প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিকতায় তরুণদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গণমাধ্যমে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটা বেশ লক্ষ্যনীয়। দেশের প্রথম সারির প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্রেই রয়েছে তরুণদের জন্য নানান পাতা। এতে ফিচার, ভ্রমন কাহিনী, সমাজ সংস্কৃতি সহ যুক্তিসংগত সকল লেখাই লিখতে পারে তরুণরা।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় শুক্রবার ক্যাম্পাস নামের পাতা বের হয়। শিক্ষা বিষয়ক যে কোন ফিচারধর্মী সংবাদ লেখা যায় এখানে। প্রতি শনিবার প্রকাশিত হয় তরুণকন্ঠ নামের পাতা। এসব পাতায় তরুণরা লিখতে পারে। প্রকাশ করতে পারে তাদের নানান ভাবনা। ইত্তেফাকের শুক্রবারের আরো একটি পাতা হচ্ছে শিল্প ও সংস্কৃতি এবং মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় কড়চা।
দৈনিক সমকাল পত্রিকা শিক্ষা বিষয়ক পাতা ক্যাম্পাস বের করে বৃহস্পতিবার। বিজ্ঞান বিষয়ক পাতা কালস্রোত ও সাহিত্য পাতা ঘাসফড়িং বের করে শনিবার। পাঠকদের লেখা নিয়ে রোববার বের করা সুহ্রদ সমাবেশ নামের পাতা। দৈনিক প্রথম আলো নানান লেখা নিয়ে ছুটির দিনে নামের পাতা বের করে শনিবার। রোববার বের করে ঢাকায় থাকি এবং বুধবার বের করে নারী পাতা। একই দিনে পাঠকদের লেখা নিয়ে বের হয় বন্ধুসভা নামের পাতা। দৈনিক নয়া দিগন্ত শুক্রবার বের করে সাতরং নামের পাতা। রোববার বের করে ফিচারধর্মী লেখা নিয়ে অবকাশ নামের ম্যগাজিন। মঙ্গলবার বের করে নারী পাতা এবং পাঠকদের পাতা প্রিয়জন বের করে বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ প্রতিদিনের ৫এর রকমারি” নামের পাতাটি সাজানো হয় ফিচার দিয়ে।
পাতাগুলো প্রকাশ হওয়ায় তরুণরা ইচ্ছে করলেই লিখতে পারছে। আগের তুলনায় লেখার আগ্রহও বেড়েছে অনেক। আরো মজার ব্যপার হল এখন আর তরুণরা শুধু পত্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। টেলিভিশনেও তাদের উপস্থিতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। টিভি চ্যানেল গুলো শিশু-কিশোরদের জন্য আলাদাভাবে অনুষ্টান নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি চ্যানেল কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। একুশে টেলিভিশন শিশুদের নিয়ে মুক্ত খবর নামের একটি অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছে। এর বেশিরভাগ অংশ জুড়েই রয়েছে শিশুদের নিয়ে দেশ বিদেশের খবর। দিগন্ত টেলিভিশন শিশুদের খবর নিয়ে সাজিয়েছে দুরন্ত খবর নামের অনুষ্ঠান। অনুষ্টানগুলো শিশুদের কাছে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সূত্র (অনলাইন )