গর্ভবতী নারী বিষয়ে যে ১২টি তথ্য সব পুরুষেরই জানা প্রয়োজন

gobb 1অনলাইন ডেস্কঃ- গর্ভবতী নারীদের কোন বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত, তাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত, কীভাবে রাখা উচিত এসব বিষয় নিয়ে অনেকেরই জানা নেই। এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি তুলে ধরেছে হাফিংটন পোস্ট।
১. তাকে ক্রমাগত খেতে হয়
গর্ভবতী নারীদের জন্য খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা অনেকেরই জানা। কিন্তু আপনি জানেন কি, তাকে কখন খেতে হবে? যখনই সে বলবে যে তার ক্ষুধা লেগেছে, তখনই তাকে খাওয়াতে হবে।
‘আমার ক্ষুধা লেগেছে’ কথাটার অর্থ এই নয় যে, সে ডিনারের জন্য পরিকল্পনায় ব্যস্ত। ক্ষুধা লেগেছে মানে তার সত্যিই ক্ষুধা লেগেছে। এ সময় তার যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া উচিত। খাবার দিতে দেরি করা মানে শারীরিক ক্ষতি। তাই গর্ভবতী থাকাকালীন আশপাশে সব সময় হালকা খাবার রাখা উচিত।
২. খাবার : আপনারগুলো তার, তারগুলোও তার
সঙ্গী হিসেবে আপনি তার সঙ্গে যেসব খাবার খান, কিংবা বাইরে থেকে নিয়ে আসেন সেগুলো তার স্বাভাবিক খাবার। কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার পর তার খাবারের চাহিদা আর আগের মতো নেই। যেসব মজার মজার খাবার আপনি খান সেগুলোও গর্ভবতী হওয়ার পর তার জন্য বরাদ্দ। ৩. ওজন বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত হন
খাবার-সংক্রান্ত বিষয় থাকলে তার সঙ্গে ওজন বাড়ানোরও একটি সম্পর্ক থাকে। গর্ভবতী হলে খাবারের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমন ওজনও বাড়বে। ওজন বাড়লেও নারীদের সৌন্দর্য এ সময় কমে না, বরং বাড়ে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। এসব বিষয় তাই স্বাভাবিকভাবেই নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৪. ওজন বৃদ্ধির প্রভাব স্বামীর ওপর
গর্ভবতী হলে শুধু নারীরই ওজন বাড়ে না। এর প্রভাব পড়তে পারে পুরুষ সঙ্গীর ওপরও। খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের ফলে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
৫. গর্ভবতী মস্তিষ্ক খুবই স্বাভাবিক
‘গর্ভবতী মস্তিষ্ক’ বলতে কোনো পৃথক বিষয় নেই। এটি মিডিয়াসৃষ্ট একটি শব্দ। গর্ভবর্তীদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিক মানুষের মস্তিষ্কের মতোই কাজ করে।
৬. রসবোধের পরিসমাপ্তি
গর্ভবতী হওয়া মানে একটি সুখবর পাওয়া- আপনার একটি সন্তান হয়েছে। অন্যদিকে সেন্স অফ হিউমার বা রসবোধের পরিসমাপ্তি একটি দুঃসংবাদ (যদিও মাত্রাতিরিক্ত নয়)। বহু রসবোধসম্পন্ন স্বামীদের জন্য একটি দুঃসংবাদ হলেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এগুলো সন্তানের জন্যই।
৭. যৌনতায় ‘না’
গর্ভবতী অবস্থায় যৌনতা মানে গর্ভবতীকে অসুবিধায় ফেলা। এ সমস্যার একমাত্র সমাধান যৌনতাকে ‘না’ বলার মাধ্যমেই করা সম্ভব।
৮. স্তনে স্পর্শ নয়
গর্ভে সন্তান ধারণ করার ফলে গর্ভবতীর সারা দেহে কিছু পরিবর্তন হয়। তার প্রভাব পড়ে স্তনের ওপরেও। এ সময় স্তনের আকার বড় হয় এবং কাপড়ের সাইজ পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। তবে স্তনের আকার বড় হলেও এ সময় সেখানে স্পর্শ করা যাবে না। ৯. আপনার স্থানে বালিশ
গর্ভবতী নারীর ঘুমানোর সময় পাশে বালিশের দরকার হয়। আর ঘুমানোর সময় তার পাশে আপনার থাকার দরকার নেই। আপনার বদলে বালিশকে সেই দায়িত্ব দেওয়াই ভালো্
১০. তাকে ভঙ্গুর মনে করবেন না
গর্ভে সন্তান আছে চিন্তায় বহু স্বামীই স্ত্রীর প্রতি এমন আচরণ করেন, যেন তিনি এক কাচের তৈরি পুতুল। সামান্য নড়াচড়াতেই ভেঙে যাবে। বাস্তবে গর্ভবতীদের ভারি কিংবা কষ্টকর কাজ করা উচিত নয়। কিন্তু স্বাভাবিক কিছু কাজ করা উচিত। এমন মনে করা উচিত নয় যে, কিছু করতে গেলে তিনি ভেঙে পড়বেন।
১১. গর্ভবতীরা অলস
নিজের দেহের ভেতরে অন্য একটি জীবন ধারণ করায় গর্ভবতী নারীদের শারীরিক নানা পরিবর্তন হয়। ফলে তাদের শরীরে আসতে পারে শীথিলতা ও আলস্য। এ বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নিয়ে তাদের কাজকর্মে সহায়তা করতে হবে।
১২. অভিযোগ করবেন না
স্বাভাবিক কারণেই গর্ভবতী নারীদের নানা সমস্যা হয়। এসব সমস্যার কারণে পরিবারের সদস্যদেরও ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। এ সময় পরিবারের সবাইকে এসব কাজে হাত লাগাতে হবে। সবাই মিলে সাহায্য সহযোগিতা করে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এসব বিষয়ে গর্ভবতীকে তো নয়ই, অন্য কারো কাছেও অভিযোগ করার কোনো মানে হয় না। সূত্র-ইন্টারনেট।

Exit mobile version