মেলিসমা কি? :
গর্ভাবস্থায় ত্বকে বাদামী এবং ধূসর-বাদামী রংয়ের ছোপ ছোপ পড়তে পারে। দেহের যেকোনো স্থানে এমন দাগ হতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গালে, ঠোঁটের ওপরে, চিবুকে এবং কপালে দেখা দেয়। শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিন এর ডার্মাটোলজিস্ট ড. বিথেনি স্ক্লোসার বলেন, দেহের অন্যান্য অংশে এসব ছোপ ছোপ দাগ সাধারণত হয় না। ত্বকের যে অংশে মেলানিন উৎপন্ন হয়, সেখানে এমন দাগ দেখা দিতে পারে। মেলানিন বা মেলানোসাইটস যত উৎপন্ন হতে থাকবে, এগুলো ততই বাড়তে থাকবে। এতে করে ত্বক কালো হতে শুরু করে।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ জানায়, ৫০-৭০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর মেলাসমা হতে পারে। তবে অনেকের জিনগত কারণে এমন হয়। ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবেও এমন হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এই হরমোনের মাত্রা প্রচুর থাকে। আবার এটি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ।
তবে এটি কতদিন থাকবে তা বলা যায় না। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মেলাসমা ভালো হতে কয়েক বছর লেগে যায়।
চিকিৎসা :
এ ক্ষেত্রে আপনার ডার্মাটোলজিস্ট বংশের ইতিহাস নেবেন। এতে করে মেলাসমার ধরন বোঝা যাবে। তবে মনে রাখবেন, এটি ত্বকের রং বদলানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এতে যদি চুলকানি বা ব্যথা ইত্যাদি হয়, তবে অবশ্যই তা চিকিৎসককে বলতে হবে।
সূর্য থেকে দূরে থাকুন :
এ সময়টি সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে দূরে থাকতে হবে। আর যদি এর আগে মেলাসমার চিকিৎসা নিয়ে থাকেন, তবে সূর্যের রশ্মি অবস্থান অবনতি ঘটাতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। অন্তত এসপিএফ ৫০ রয়েছে এমন সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা ভালো। তা ছাড়া তাতে টাইটানিয়াম জিঙ্ক অক্সাইড রয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে নেবেন।
তবে গর্ভাবস্থায় এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় মেলাসমার চিকিৎসা না করাই ভালো। তবে এ সময় অ্যাজেলাইক এসিড বা গ্লাইকোলিক এসিড পিল নিরাপদ বলে মনে করা হয়। কিন্তু এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চিকিৎসবের সঙ্গে ভালোমতো পরামর্শ করে এসব ব্যবহার করবেন। সূত্র : ফক্স নিউজ