অনলাইন ডেস্কঃ- গাইবান্ধা-৫’র শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে এই আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আগামী বছর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাচ্ছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার এতথ্য জানানো হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী কোন সংসদীয় আসন শূন্য হলে শূন্য ঘোষণার ৯০দিনের মধ্যে ওই আসনে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ওই সময়ের মধ্যে ভোট করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন আরো ৯০দিন সময় বাড়াতে পারে। করোনা মহামারির সময় বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনে এভাবে সময় বাড়ানো হয়েছে।
ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫’র শূন্য আসনের নির্বাচনে অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১ (ক) অনুচ্ছেদের বিধান মতে সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণসহ সকল নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।’
এতে আরো বলা হয়, সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদের বিধান মতে জাতীয় সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উক্ত ৯০ দিবসের মেয়াদ ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সমাপ্ত হবে। কিন্তু গাইবান্ধা-৫’র শূন্য আসনের সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকার নির্বাচন বন্ধ ঘোষিত হওয়ার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে সকল আবশ্যক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ৮ দিনের মধ্যে পুনঃনির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। খবর বাসস।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফা অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এখতিয়ার প্রসঙ্গ টেনে গাইবান্ধা ভোট বন্ধের অবস্থাটি অনাকাঙ্খিত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিবেচনায় দৈব-দুর্বিপাক গণ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে বা আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা ৫’র শূন্য আসনের শূন্য পদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণের লক্ষ্যে পরবর্তী নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরবর্তী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।