রফিক আদতে প্রতিবন্ধী। তার দু’টি পা নেই। যাতায়াতের সুবিধার জন্য যাকে বলে একেবারে রাজকীয় ব্যবস্থা। একটি আস্ত গাড়িই কিনে ফেলেছেন তিনি। সেখানেই সপরিবারে থাকেনও। গাড়িতেই ঘুমান। আবার এটি চড়েই কর্মক্ষেত্রে, মানে ভিক্ষা করতে বের হন। রফিক জানান, জন্মসূত্রে তিনি রাজস্থানের মানুষ। দু’টি পা হারিয়েও অদম্য জেদে গাড়ি চালানো শিখে নেন তিনি। উপার্জন ভালোই। ফলে গাড়ি কিনতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। নগদ টাকাতেই গাড়ি কিনে সেটিকেই ঘর-পরিবার বানিয়ে ফেলেছেন।
খারগাওয়ের নবগড় মন্দির চত্বরে নিজেই গাড়ি চালিয়ে যান। সারা দিনে কমপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা রোজগার করেন তিনি। টাকার অঙ্কটা মাস গেলে লাখ ছাড়িয়ে যায়। রোজগারের বহর দেখে যেকোনো বড় সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মী ভিরমি খেতে পারেন। কয়েক মাস আগে মুম্বাইয়ের ভরত জৈন নামে এক ভিখারির কথা প্রকাশিত হয়েছিল। তিনিও মাসে ৭৫ হাজার টাকা রোজগার করেন।খবর:নয়া দিগন্ত, থাকেন ৮০ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাটে।