অনলাইন ডেস্ক:- বিয়ের সব আয়োজন ঠিক-ঠাক, আজ ছিল গায়ে-হলুদ। কাগজে-কলমে পাত্রীর বয়স নয় বছর, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। যদিও পরিবারের দাবি বয়স আসলে আঠারোর কাছাকাছি। কিন্তু বাল্য বিয়ের খবর ছড়িয়ে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন হস্তক্ষেপ করলো। ফলে ভন্ডুল হয়ে গেল বিয়ে।
ঘটনাটি পাবনার বেড়া উপজেলায়। রমজান আলীর চার পুত্র ও এক কন্যার মধ্যে রওশন আরা লাবনী সবার ছোট। লাবনী এখন পড়াশোনা করছে চতুর্থ শ্রেণিতে, বাড়ির কাছেই স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে গত কয়েকদিন ধরে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে তার বিয়ের আয়োজন চলছিলো। পাত্র পাশের গ্রামের ২২/২৩ বছর বয়সী ট্রাক চালক সাদ্দাম হোসেন।
আজ গায়ে হলুদের পর কালই বিয়ে দেয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিলো নানা প্রস্তুতি। কিন্তু ঘটনাটি নানা ভাবে প্রকাশ পাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন তাতে বাধা দেয়।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, খবর পেয়েই তারা বিয়ে ভন্ডুল করে দেন। “ তারা কান্নাকাটি করছিলো। কিন্তু আমরা বলে দিয়েছি যে বাল্যবিবাহ করালে মোবাইল কোর্ট সাজা দিবে। এটা বলে বিয়েটা বন্ধ করে দিয়েছি।”
লাবণীর বড় ভাই রওশন আলী বিবিসিকে বলেন তার বোনের বয়স ১৮ না হলেও তার কাছাকাছি। তার দাবি লাবনীকে বেশি বয়সে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে।
লাবনীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী ভুট্টোরও দাবি স্কুলের কাগজপত্রে লাবণীর বয়স নয় বছর হলেও প্রকৃত বয়স আরও অনেক বেশি।
বিয়ের পুরো আয়োজন ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার জন্য পরিবার আর গ্রামের মানুষ দুষছেন সাংবাদিকদের, যারা খবর ফাঁস করে দেয়ায় হস্তক্ষেপ করতে হয় স্থানীয় প্রশাসনকে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের আইনে ১৮ বছরের কম বয়সীদের বিয়ে আইনত নিষিদ্ধ।সূত্র:বিবিসি বাংলার