১. নিজের উপলব্ধি প্রকাশ করুন
অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের অন্যতম উপায় হলো আপনার উপলব্ধি প্রকাশ করা। সে আপনার জীবনের কতোটা ঘনিষ্ঠ এটা জানাতে ভুলবেন না। আর যে কোনো বিষয়ে অন্যের অবদান গ্রহণযোগ্য হলে তা স্মরণ করতে ভুলবেন না।
২. কাউকে পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন না
সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অন্যকে নয়, নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করুন। যদি কাউকে ক্রমাগত পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করেন তাহলে তা সত্যিই বিব্রতকর। এক্ষেত্রে আপনার ঠিক কোন পরিবর্তনটি প্রয়োজন, এবং কেন প্রয়োজন, এটি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন। সম্পর্ক দুজনের একটি বিষয়, যার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো বোঝাবুঝি ও মানিয়ে নেওয়া।
৩. উৎসাহ দিন
প্রত্যেকেই উৎসাহ পছন্দ করে। আপনার প্রিয়জন যদি কোনো একটি মজার বা ভালো কাজ করেন, তাহলে তাকে উৎসাহ দিন। বিষয়টি যদি হয় বড় কিছু, তাহলে বড় করেই তাকে উৎসাহ দিতে হবে।
৪. আপনার ইগো সরিয়ে রাখুন
আমাদের ইগো না থাকলে এ বিশ্ব কতোই না ভালো একটি বাসস্থান হতে পারতো! অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তার অনুভূতি ও চিন্তাভাবনার কথা চিন্তা করুন। এ ক্ষেত্রে আপনার ইগো একপাশে সরিয়ে রাখুন। এতে আপনার সম্পর্ক অনেকখানি উন্নত হবে।৫. ভালোভাবে শুনুন
সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্যের কথা শোনার গুরুত্ব অপরিসীম। আর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নিরবে অপর পক্ষের কথা শুনতে হবে। অন্যের কথায় গুরুত্ব দিতে হবে।ঠিকভাবে কথা শোনার প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে অন্য সব কাজ।
৬. নিজের সুখের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা নয়
আপনি যদি নিজের সুখের জন্য নির্ভর করতে চান অন্যের ওপর তাহলে বোকামি করবেন।অন্য কেউ আপনার জীবনের সুখ এনে দিতে পারবে না। এজন্য আপনাকে নিজের ওপরেই নির্ভর করতে হবে। আর সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আশাবাদ এক্ষেত্রে বাদ দিতে হবে।
৭. ‘আমি’ বাদ দিয়ে বলুন ‘আমরা’
সম্পর্কের ক্ষেত্রে আত্মকেন্দ্রীক চিন্তাভাবনা বাদ দেওয়ার জন্য একটি কার্যকর উপায় হতে পারে ‘আমি’ বাদ দিয়ে ‘আমরা’ হিসেবে সবকিছু বিবেচনা করা। নিজেকে উপস্থাপনের একটি ভালো উপায় হলো ‘আমি’ ব্যবহার করা। কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার চেয়ে ভালো শব্দ হলো ‘আমরা।’ এ শব্দটির ব্যবহারে মস্তিষ্কে বিশ্বাসের অনুভূতি তৈরি হয়। যা আদতে কাজ করে সম্পর্কের উন্নয়নে।
৮. নিজেকে শিক্ষা দিন
রাগ ও যোগাযোগের মতো বিষয়ের মানসিক দিক নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। যদি মনে করেন এর কোনো অংশে আপনার উন্নতি প্রয়োজন আছে, তবে তাই করুন। বাস্তবে আমরা নিজেদের নানা বিশ্বাস নিয়ে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আর এতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারলে তা বাস্তবে কাজে আসে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে যথেষ্ট কার্যকর।
৯. ভালো দিকটিই দেখুন
সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভালো ও ইতিবাচক দিকটিই আগে দেখা উচিত। আর এ অভ্যাস করতে পারলে উন্নতি ঘটবে সম্পর্কে। ভালো একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অন্যের ভালো দিকটি দেখার অভ্যাস নিঃসন্দেহে হতে পারে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।সূত্র : ইন্টারনেট