ঝিনাইগাতীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবীতে ব্যবসায়ী সংগঠনের জরুরী সভা

ঝিনাইগাতী প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা’র মুক্তির দাবীতে ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলার সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের উদ্দ্যেগে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইগাতী ক্ষুদ্র বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবু হেলাল খাঁনের সভাপতিত্বে  বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ক্ষুদ্র বণিক সমবায় সমিতির সেক্রেটারী জাকির হোসেন, ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন খাঁন, গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোলতান মাহমুদ খোকা, ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সেজু, সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল, আদর্শ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সেক্রেটারী আবু তাহের, বস্ত্র ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, খাদ্য ও মিল মালিক সমিতির সেক্রেটারী ছমির আলী মল্লিক, ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম, অবকাশ বিডি টুয়েন্ট্রি ফোরের সম্পাদক গোলাম রব্বানী টিটু, প্রেসক্লাবের আহবায়ক হারুনুর রশিদ দুদু, সিনিয়র সাংবাদিক আব্বাস উদ্দিন, এম মোকাদ্দেছ আলীসহ আরোও অনেকে। জরুরী সভায় বক্তারা ঝিনাইগাতী উপজেলার সফল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশাসহ ৭ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। বক্তারা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা আইন ও আদালতের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। তার পরেও যে প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আজ  ৭ ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলছে বিষয়টি আইনগত ভাবে যদি সত্যি হয়, তাহলে তৎকালীন সময়ের ইউএনও আর পিআইও’র বিরোদ্ধে কেন দুদক কোন আইনগত পদক্ষেপ নেননি। কারণ ঐ দুই কর্মকর্তার মধ্যে পিআইও’র মাঠ পর্যায়ে কাজের চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর উক্ত ফাইলে স্বাক্ষর করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান। আর এতে কাজের মধ্যে কোন দূর্নীতি হয়ে থাকলে, ঐ দুই কর্মকর্তার নাম কেন দুদকের তদন্তে এলোনা ? কাজেই উক্ত বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন। সেই সাথে ঝিনাইগাতী উপজেলার সফল চেয়ারম্যানের অভিলম্বে মুক্তি কামনা করছেন উপজেলার সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুধী সমাজ।

Exit mobile version