ঝিনাইগাতীতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ১ ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবীতে অর্ধ দিবস হরতাল ও মানব বন্ধন পালিত

মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতীঃ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা ও কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরকারের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ১৮ই জানুয়ারী শনিবার উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের উদ্দ্যোগে অর্ধদিবস দোকান পাট বন্ধ ও দুপুরে এক বিশাল মানব বন্ধন শহরের জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানব বন্দনে উপজেলার সর্বস্তরের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন নারী ও শিশুসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ গ্রহন করেন। মানব বন্ধনে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল উসলাম বাদশা ও কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরকারের মুক্তির দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান লেখা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন। মানব বন্ধনটি পুরো ১ ঘন্টা ব্যাপী রাস্তায় অবস্থান করে। তাদের মুক্তির দাবি ও হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বক্তব্য রাখেন, বণিক সমিতির উপদেষ্টা মন্ডলীর সম্মানিত সদস্য গোলাম মোস্তফা, বণিক সমিতির সভাপতি আবু হেলাল খান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালের ১০০.০৯ মেঃ টন টি আর কেলেংকারীর বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ ইউপি চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে  মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক দুদক একটি মামলা দায়ের করে। ৭ ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে ইতিপূর্বেই ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান মৃত্যুবরণ করায় বাকী ৬ চেয়ারম্যানসহ উপজেলা চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন পান। গত ১৩ জানুয়ারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরকার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত ওই দুই চেয়ারম্যানের জামিন বাতিল করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা শেরপুর জেল খানায় আটক রয়েছেন।

Exit mobile version