ঝিনাইগাতী প্রতিনিধিঃ শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী বাজারের অবৈধ কাঠ ও কয়লা পাচারকারীর মূল হোতা মকবুলের খুঁটির জোর কোথায় ? এ প্রশ্ন এখন ঝিনাইগাতীতে কর্মরত সাংবাদিকদের। অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল মোহনা টেলিভিশন ও আজকের বাংলাদেশ পত্রিকার ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রতিনিধি আবু হেলাল ও স্থানীয় কয়েক সাংবাদিক বিভিন্ন ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ জানুয়ারী থেকে অবৈধ শাল গজারী , কয়লা ও লাকড়ী পাচারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য অনু-সন্ধানে নেমে ১ম দিনেই বগাডবি নামক স্থানে একটি অবৈধ শালগজারীর লাকড়ী ভর্তি ট্রলীর সন্ধান পেলেও সংশ্লিট স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সহযোগীতা না থাকায় লাকড়ী পাচারকারী সেন্ট্রিগেটের হোতা মকবুল বাহিনী লাকড়ীর গাড়ীটি নিয়ে চলে যায়। এর পর গত ৮ জানুয়ারী রাত ১১ টায় সংবাদ আসে, ধানশাইলের চাপাজোড়া এলাকায় মেইন সড়কের উপর ঢাকা মেট্রো-ড-৬৩৬৩ নম্বর একটি ট্রাকে গজারীর কয়লা ভরা হয়েছে, পাচারের উদ্দেশে। এ সংক্রান্ত সংবাদ পাওয়া মাত্রই সাংবাদিকরা, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা জামিল মোহাম্মদ খাঁন ও বিট কর্মকর্তা আবু তাহের ও শেরপুরের সহকারী বন রক্ষক রফিক আহম্মেদকে ট্রাক নম্বর দিয়ে সংবাদ দেওয়া হয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু ওই তিন কর্মকর্তার মধ্যে ১ম জন মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে আর শেষোক্ত ২ জন কৌশলে ঘটনাস্থলে আসেন অনেক দেরীতে। ততক্ষণে মকবুল বাহিনী পেশী শক্তি দেখিয়ে ট্রাকটিকে নিয়ে চলে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। তাৎক্ষনিক ভাবে সাংবাদিকরা বিভাগীয় সহকারী বন রক্ষক ইউনুছ আলীর মোবাইলে বিষয়টি জানালে, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। অপর এদিকে ১৩ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে অবৈধ কয়লা ভর্তি একটি ভ্যানগাড়ী রাংটিয়া বিট অফিসের সামনে দিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারের মকবুল বাহিনীর কলেজ রোড়ের ডিপুতে নেওয়ার পথে সাংবাদিকরা রাংটিয়ার বিট কর্মকর্তা আবু তাহেরকে সংবাদ দিলে, বিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই অবৈধ কাঠ ও কয়লা পাচারকারী দলের হোতা মকবুল এসে সাংবাদিকদের সাথে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কয়লা বুঝাই ভ্যানটি নিয়ে চলে যায় এবং দম্ভ করে বলে, এরকম ২/১টি গাড়ীর ছবি তুলে পেপারে দিলে আমার কি যে হবে, তা আমার ভালো করে জানা আছে। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া অবৈধ কাঠ ও কয়লা চোরাকারবারির এত খুঁটির জোর কোথায় ? এ জিজ্ঞাসা স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের কাছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কয়লা নিয়ন্ত্রনকারীরা বাকাকুড়া গ্রামের ফরিদের মাধ্যমে বাকাকুড়া এলাকায়, ধানশাইল বাজারের আজগরের নেতৃত্বে ধানশাইল ও ঝিনাইগাতী বাজারের অবৈধ কয়লা ব্যবসার গডফাদার মকবুলের অধীনে কলেজ রোড়ের এক ডিপুতে জমায়েত করে প্রতি সপ্তাহে ট্রাকে ভর্তি করে শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এ থেকে সরকার বছরে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার, আর আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে চোরাকারবারী মকবুল বাহিনী। মকবুল বাহিনীর এত খুটির জোর কোথায় ?