রাষ্ট্রদূত মজিনা সোমবার বিকালে ঝিনাইদহ শহরের কে. আহমেদ অডিটোরিয়ামে তাকে দেওয়া এক সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাবিউ মজিনা আরো বলেন, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কয়লা, গ্যাসসহ প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ লুকিয়ে আছে। আমি এদেশের উর্বর মাটি ও পানি সম্পর্কে জেনেছি। এদেশের মাটিতে বছরে ৩/৪ বার ফসল ফলে। এই সবই ঈশ্বরের অবদান। মজিনা বলেন, আমি আমার ৬৫ বছরের চোখ দিয়ে এদেশের মানুষকে কাছ থেকে দেখেছি। আমি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যš— ঘুরেছি। সারা দেশে আমি সেই সব মানুষকে দেখেছি যারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাই যখনই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় তখনই বাংলাদেশীরা সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখে। ঝিনাইদহ ভ্রমনের কারণ ব্যাখ্যা করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবিউ মজিনা বলেন, আমি আমেরিকাকে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে এসেছি। এখানে আমি শিখতে এসেছি, জানতে এসেছি। দেখতে এসেছি এখানকার পরিশ্রমী মানুষ গুলোকে, যারা দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে কাজ করছে।
এর আগে ড্যান মজিনা ঝিনাইদহ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলায় কর্মরত সরকারী কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এস.এম মৈনুর, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর বশির আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম জোয়ারদার বাবলু ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি ঝিনাইদহের রেডিও ঝিনুক পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য দুই দিনের সফরে ১১ জন সফর সঙ্গীসহ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবিউ মজিনা সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঝিনাইদহে পৌছান। ঝিনাইদহে পৌছালে জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। আগামী কাল মঙ্গলবার তিনি কালীগঞ্জে সুইতলা মলিক পুরের বটগাছ ও শৈলকুপায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. আসাদুজ্জামানের বাড়িতে যাবেন। পরে ঝিনাইদহ শহরের শেরে বাংলা সড়কে অবস্থিত সুর্য্যের হাসি ক্লিনিক ও হলিধানীতে অবস্থিত সরকারী ভেটেরিনারি কলেজ পরিদর্শন করবেন।