সিনিয়র রিপোর্টার,ঢাকা মহানগর সহ সারাদেশের ফুটপাতের হকাররা বেকারত্বের অভিশাপ থেকেস বাঁচার জন্য অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে দেশের মাঝারী ও কুটির শিল্পের উৎপাদিত মালামাল ক্রয় করে এনে দেশের মধ্য ও নিম্নবৃত্তদের কাছে স¯—ায় বিক্রি করে নিজেদের পরিবার পরিজনের সংসার যেমন চালায় ঠিক তেমনি করে দেশের অর্থনীতি অবদান রেখে চলছে। হকাররা ক্ষুদ্র ব্যবসা আরম্ভের পর থেকে শুর“ হয় নানা প্রকার বিড়¤^না, যেমন ব্যবসার জায়গায় অভাবের কারণে বার্ষিক ও দৈনিক দিতে হয় অনেক খেসরাত না হলে হতে হয় অনেক হয়রানির শিকার ব্যবসা চলাকালিণ সমযে মালের নিচে থাকতে দেয়না চকি মাথায় উপর দিতে পারে না চাল, যার কারণে বৃষ্টিতে ভিজে মালপত্র, আর রোদ্রে কষ্ট হয় হকার নামের হতবাগ মানুষের।
হকার, তাদের পরিবার আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সহ দেশের কোন কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য বা সমর্থক হিসেবে যেকোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করে থাকেন। বিনিময় শুধু চায় তারা একটু সরকারি জায়গায় বসে তার বৈধ ছোট ব্যবসাটি চালিয়ে তার পোষ্য লোকদের দুবেলা দু-মুঠো ডালভাত খাইয়ে বাঁচাতে। যার কারণে বড় বড় দল রাজনৈতিক দলগুলি বিরোধী দলে থাকতে বড় বড় জনসভায় ঘোষণা দেয় সরকারের গেলে হকার্সদের পূর্ণবাসন কাজ আরম্ভ করবে। এ প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বর্তমান মহাজেটের শিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন বলেন, ঢাকা শহরের এক তৃতীয়াংশ মানুষ গরিব। এই গরিব মানুষের পূনবাসন ছাড়া ঢাকা শহরকে গতিশীল করা সম্ভব নয়। তিনি শহরের দরিদ্র মানুষের পূর্ণবাসনের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুর্ণবাসন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মনোযোগি হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানান। তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষেরাই শহরের অর্থনীতি প্রাণ। বিশেষ করে শহরের গার্মেন্টস, হকার, রিকশা, পরিবহন শ্রমিকেরা এই শহরে না থাকলে এই শহর প্রাণহীন অচল শহরে পরিণত হবে। তিনি বলেন, নগর দরিদ্রদের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এ প্রসঙ্গে হকার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হার“ন-অর-রশীদ বলেন, ফুটপাত দখল করে রাখার জন্য অভিযোগ বরাবর হকারদের দিকেই থাকে অথচ হকারদের পূর্নবাসন জায়গা দখল করে আছে প্রাইভেট গাড়ী এবং কয়েকটি স্থান ব্যতিত অধিকাংশ স্থানের ফুটপাত দখল করে রাখে হুন্ডা, দোকানের মালপত্র বা সাইনবোর্ড। তিনি আরো বলেন, হকারদের সু-শৃক্সখলভাবে বসার ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মাধ্যমে আরো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, ১৯৯৭-৯৮ সালে হকারদের পূর্ণবাসনে সরকার একটি মহাপরিকল্পনা দিলেও তা বা¯—বায়িত হয়নি। তিনি আরো বলেন, রাজধানীর প্রায় চারহাজার হকারকে কেন ওসমানী উদ্যান ও মুক্তাঙ্গনে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে র“ল জারি করেছিল হাইকোর্ট। তাতে পরিকল্পনা সচিব, ভ‚মি সচিব, যোগাযোগ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এলজিআরডি সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহাপরিচালক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, প্রধান বির্নাহী, প্রধান ভ‚মি কর্মকর্তা, ঢাকা অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছিল র“লের জবাব দিতে।
মহামান্য হাইকোর্ট মামলা চলাকালীণ এবং বর্তমান সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় হকার্স পুর্ণবাসন না হওয়া পর্যš— উচ্ছেদ বন্ধ রাখার গত ২৫/০৭/১২ইং সভায় সিদ্ধাš— থাকা অবস্থায় গত ০২/০৭/১২ইং তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে হকারদের উচ্ছেদ করার সিদ্ধাš— নেওয়া কতটুকু উচিৎ বলে হকার্সরা মতামত দেন Ñ হকার্সÑফেডারেশন সভাপতি এম এ কাশেম ‘জানতে চায় দেশ’ কে বলেন পুর্ণবাসন না হওয়া পর্যš— মানবিক বিবেচনায় ফুটপাত হকারদের নিরাপদে ব্যবসা করতে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ইং হতে ১৯৯৮ইং সালে তৎকালীণ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র মরহুম মোহাম্মদ হানিফ প্রচেষ্টায় মহানগরীর ফুটপাত হকারদের পূর্নবাসনে একটি তালিকা করা হয়। তালিকা অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে পীর ইয়ামেনী মার্কেট হইতে গোলাপশাহ্ মসজিদ পর্যš— ওসমানি উদ্যানের পূর্বপাশের ওয়াল গেসে পার্কের খালি জায়গায় টুকু ২৭৭৪জন হকার জন্য ব্যবসার স্থান নির্ধারন করা হয়। এছাড়া মুক্তাঙ্গন ১২৯৫জন, যাত্রবাড়ি ডাপিং ডিপোতে ৬০১২ জন, মিরপুর ১নং মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনের ফুটপাত ও স্কুলের সামনের ফুটপাত সহ রাস্তার ২ পাশের ফুটপাতে ২৭২০ জন। পো¯—াখোলার আলম মার্কেট ও সেতু মার্কেটের সামনের খোলা জায়গায় ৪৬৭৭জন, মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনের খালি জায়গায় ৩০৬৩জন, সুন্দরবন হোটেলের পাশ থেকে শুরু করে সমরিতা হাসপাতাল পর্যš— পান্থ পথের রাস্তার দুইপাশে ৩৪০২জন, নিউমার্কেটের এলাকার পলাশী চৌরাস্তা হতে আজিমপুর চৌরাস্তা দুই পাশে খালি জায়গায় ৬০৬০জন সহ মোট ৩০হাজার হকারের পূর্নবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে স্থান নির্ধারণ করা হয়। ৩টি স্থানে ব্যবসার জন্য টোকেন ডিসিসির প্রধান কর্মকর্তা ¯^া¶র দিয়েছেন। কিন্তু উক্ত স্থান সমূহের দখল বুঝিয়ে দেয়ার আগেই বিএনপি সমর্থিত জোট সরকার ক্ষমতায় আসেন। এর পরেই হকারদের পূর্নবাসনের ফাইলটি চাপা পড়ে। পরবর্তীতে তত্ত¡বধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে হকারদের অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করে। তখন হকারদের আন্দোলনের মুখে ২০টি স্থানে ব্যবসা করার জন্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব স্থানে হকাররা ব্যবসা করাকালীণ গত কয়েক মাস আগে সদরঘাট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যš— একটি রাস্তা হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। এতে করে ওই সব হকাররা অর্থাভাবে মানবেতার জীবনযাপন করছেন। পরবর্তীতে হকার্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্ট রিট পিটিশন দেয়ার আদালত ৩ সপ্তাহের জন্য রুল জারি করে। কিন্তু এরপরও পুলিশ ওই সব স্থানে হকারদের বসতে দিচ্ছেনা।
বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ হকারদের সমস্যা সমাধানে দ্র“ত পদক্ষেপে নিতে সরকারের প্রতি আহŸান জানান।
মোঃ সাইদুল হাসান,সিনিয়র রিপোর্টার, বাড্ডা