টার্গেট নাকি আমি: খালেদা জিয়া

kkkkkkkkkkkkkkkkkkkkসাতক্ষীরা প্রতিনিধি ,জি নিউজ ঃ বিরোধী দলের নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমি নাকি এক নম্বর টার্গেট। এসব ভয় দেখাবেন না। ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ক্ষমতা থেকে যখন বিদায় নেবেন, তখন জনগণের এমন তাড়া খাবেন যে মুখ দেখাতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আয়োজিত শোক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, “আপনার মনে রাখা উচিত-লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন। গত ১ মাসে ১৮০ জনকে আপনার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। আপনি বলেছিলেন এক লাশের পরিবর্তে ১০ লাশ চান। আপনাকে হুকুমের আসামি করা হবে, ছাড়া হবে না।”

“বিচারপতিদের দিয়ে নিজের মামলা গুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাতে পার পাবেন না” বলেও মন্তব্য করেন খালেদা।“হরতাল হয়েছে আরো হবে” উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “হরতাল যদি না চান তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন দিন। আমরা বলেছি ক্ষমতা ছাড়েন, তাহলে হরতাল-টরতাল কিছু হবে না।”

তিনি বলেন, “তারা লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল তারপরও আমরা মামলা করিনি। কিন্তু এই সরকার মানুষ দেখে ভয় পায়। তাই ১৮ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে গ্রেফতার করছে। তাদের জামিনও দেওয়া হচ্ছে না।”

তিনি বলেন, “মিডিয়ার ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে এসেছেন। তারা সবকিছু তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সরকার তা দেখাতে দেয় না। সরকারের বিরুদ্ধে যেখানে কথা আছে তা দেখাতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “তারা একবার বাকশাল করেছিল আবার করতে চায়। তারা চায় একটি দল থাকবে। তাই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবে আর বিএনপিকে ভেঙে দেবে। একদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আবার ক্ষমতায় এসে লুটপাট করতে চায়। এজন্যেই আমরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছি। যে দাবি একদিন তারাই করেছিল। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জালাও পোড়াও করেছে। ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ১৯৮৬ সালে জামায়াতকে নিয়ে এরশাদের নির্বাচনে গিয়েছিল। এখন জামায়াত যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেছে।” খালেদা জিয়া শাহবাগের আন্দোলনরত তরুণদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, টাকাপয়সা দিয়ে, ভাড়া করে এনে নাচগান করালেই হয় না, ওরা আসল তরুণ না। জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সরকার একদলীয় সরকার চায়। এ জন্য দল নিষিদ্ধ করতে চায়। তিনি বলেন, ‘শুনতে পাচ্ছি দুর্নীতিবাজ এই সরকারের অনেকেই নাকি বিদেশে বাড়ি-গাড়ি কিনছেন, পরিবার পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ তো টিকিট পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনেকে জড়িত আছেন।’

হরতালের সময় পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিরোধী দলের নেতা বলেন, ‘হরতালের সময় কি মিছিল করা যাবে না, পিকেটিং করা যাবে না।’ তিনি বলেন, দেশ অচল হয়ে গেছে। এই সরকার ডুবন্ত, এদের পায়ের নিচে মাটি নেই। এই দুর্বল সরকারকে রাখা যায় না। এখন দেশ কঠিন সময় পার করছে।’ অন্য দেশের হাতে সব তুলে দিয়ে এরা ক্ষমতায় থাকতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Exit mobile version