আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- তুরস্কের একটি কয়লা খনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২-এ দাঁড়িয়েছে। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রজব তাইয়্যেব এরদোগান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরইমধ্যে তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন।এছাড়া, খনিতে ২০০ জনেরও বেশি লোক আটকা পড়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী তানের ইলদিজ। তিনি আটকে পড়া লোকজনের বেঁচে থাকার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এ দুর্ঘটনার বিষয়ে দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারজিয়েহ আফখাম তুর্কি সরকার ও জনগণের প্রতি এ সমবেদনা জানান। একইসঙ্গে তিনি এ দুর্ঘটনায় সহায়তা করার জন্য ইরানের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় মানিসা প্রদেশের সোমা শহরে মঙ্গলবার বিকেলে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মানিসার মেয়র চেঙ্গিস এরগুন। এর আগে নিহতের সংখ্যা ১৬৬ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় কয়লার খনিটিতে ৭৮৭ জন কাজ করলেও তাদের কেউ কেউ বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তুরস্কের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা আটকে পড়া জীবিত ব্যক্তিদের বের করে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তারা প্রায় ৮০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছেন। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ভেতরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে এবং প্রচণ্ড ধুলায় দম বন্ধ হয়ে আসছে। উদ্ধারকর্মীরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে খনিটির ভেতরে অক্সিজেন পাঠাচ্ছেন। হতাহত ও আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের আত্মীয়-স্বজনদের পাশাপাশি হাজার হাজার উৎসুক মানুষ খনিটির মুখে ভিড় জমিয়েছেন। তুর্কি খনি কোম্পানি সোমা কোমুর এক বিবৃতিতে বিস্ফোরণকে বেদনাদায়ক দুর্ঘটনা বলে অভিহিত করেছে। প্রতিবেদনটি রেডিও তেহরান এর, বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনকভাবে এই দুর্ঘটনায় আমাদের কিছু কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।