জি নিউজ ডেস্কঃ- আমরা ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বৃদ্ধিকরার পেছনে অনেক টাকাই খরচ করি। কিন্তু কতটুকু লাভ হয়? রাতারাতি কি আপনাররঙ উজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছে? বরং একেক সময় একেক ক্যামিকেল ব্যবহার করে আপনারত্বকের ক্ষতি করছেন। এর চাইতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা অনেক ভালো।ত্বকের যত্নে আমাদের হাতের কাছে প্রাকৃতিক এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা ব্যবহারকরে আমরা ত্বককে সজীব রাখতে পারি। তেমন একটি হলো ফুল।
গোলাপফুল :শুষ্ক ত্বকের যেকোনো বয়সী গোলাপের এই প্যাক লাগাতে পারেন। গোলাপের পাপড়িরসুগার আর তেল শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা জুগিয়ে ত্বককে কুসুম কোমল করে তোলে।কয়েকটি গোলাপ ফুলের পাপড়ি নিন এর সাথে ২ / ৩ চা চামচ ওটস আর দুধ মিশিয়েভালো করে ব্লেণ্ড করে নিন। কটন বলে গোলাপ জল লাগিয়ে পুরো মুখ মুছে নিনতারপর অপেক্ষা করুন ঐটি শুকানো পর্যন্ত। এখন লাগান গোলাপের ফেস প্যাক।১০-১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে আপনি পেয়েযাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বল গ্লোয়িং স্কিন।
গাঁদাফুল :এইফুল ত্বকের রঙ হালকা করে সেই সঙ্গে ক্লিন করে। সপ্তাহে একবার বা দুইবার এইপ্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বকের পোরও টাইট হয়। যদি কারও মুখে পিম্পল থেকে থাকেগাঁদা ফুল তার অ্যান্টি-সেপ্টিক, অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল প্রপারটির মাধ্যমেতাও সারিয়ে তোলে। কয়েকটি ফুলের পাপড়ির সাথে গুঁড়ো দুধ, টক দই, মধু ওগ্রেটেড গাজর একসাথে পেস্ট করে নিন। এই প্যাক ত্বকের ডালনেস দূর করে। ব্রণেজর্জরিত পাঠকেরা সপ্তাহে ২ দিন করে এই প্যাক ব্যবহার করুন।
বেলিফুল :যাদেরশুষ্ক ত্বক তারা এই প্যাকটি মুখে লাগাবেন সপ্তাহে ২ বার করে। দেখবেনড্রাইনেস অনেকটাই কেটে গেছে। ফুলের বোঁটা থেকে পাপড়ি গুলো আলাদা করুন, তারপর ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে ৩-৫ মিনিট রাখুন। পানি ছেঁকে নিয়ে দুধের মালাই এরসাথে পেস্ট করে নিন। মসৃণ ত্বক পাওয়ার জন্য প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটরাখুন। যাদের সেনসিটিভ ত্বক তারা টক দই এর সাথে ব্লেণ্ড করে মুখে লাগান।সপ্তাহে ১ বার করাই যথেষ্ট।
জবাফুল :কিছুজবা ফুলের পাপড়ির পেস্ট নিন এর সাথে চালের গুঁড়া, এসেন্সিয়াল অয়েল যেমনভিটামিন ই আর অল্প পানি দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগান সবধরনের টক্সিন, তেল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। সূত্র-ইন্টারনেট।