দুই নেত্রীকে চিঠি পাঠানোর মধ্যে আমার নিজের কোনো স্বার্থ বা উদ্দেশ্য ছিলো না। আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার থাকাটা সমর্থন করেন না এরশাদ। এটা উচিত হবে না। উনি (শেখ হাসিনা) নির্বাহী পদে থাকলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপি অংগ্রহণ না করলে নির্বাচন হবে না। আমরা নির্বাচন চাই, সংঘাত দেখতে চাই না। অন্যদিকে হরতাল না দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হরতালে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। দেশের উন্নয়ন বিপর্যস্ত হচ্ছে। হরতালে কারো উপকার হয় না। এখন মহাজোটে থাকলেও আগামী নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়া এরশাদ বলেন, আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। এখনো আমার যে জনপ্রিয়তা, তাতে আগামী নির্বাচনে কারো ওপর আমার নির্ভর করতে হবে না। মহাজোট নেতা সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন। মিছিল-সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার বিষয়ে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত এই সামরিক শাসক বলেন, এটা অগণতান্ত্রিক এবং সংবিধান বহির্ভূত। এটা করা ঠিক হয়নি।