ধামইরহাটে বাঁশ ও বেত শিল্পীদের দুর্দিন

আব্দুল্লাহ হেল বাকী ,ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃনওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ পরিচর্যার অভাবে বাঁশ উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে বাঁশঝাড় উজাড় হয়ে যাচ্ছে নওগাঁ জেলায় এক সময় বাঁশ সম্পদ খুব সমৃদ্ধ ছিল উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যেখানে সেখানে ছিল অসংখ্য বাঁশঝাড় বর্তমানে বাঁশঝাড় আগের মতো নেই যে পরিমাণ বাঁশঝাড় এখনো রয়েছে তাতে উৎপাদন খুবই কম ফলে দামও বেড়েছে অনেক গুণ বেশি বাঁশঝাড়ের মালিকরা এর আবাদ সম্পর্কে অজ্ঞ এদিকে জ্বালানি সঙ্কটের কারনে অপরিপক্ক বাঁশের গোড়া তুলে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে অনেকেই ফলে বাঁশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ধামইরহাট উপজেলার উত্তর চকরহমত গ্রামের কৃষি শিক্ষক আলাল হোসেন জানান, উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে একটি বাঁশ গাছ থেকে বছরে কমপক্ষে ১০১৫ টি চারা হয় অথচ অযতœ আর অবহেলার কারণে একটি বাঁশ থেকে বছরে এখন মাত্র টির বেশি চারা হয় না বাঁশ বেত শিল্পের জন্য এক সময় ধামইরহাট উপজেলা বিখ্যাত থাকলেও পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় শিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে শিল্পীর নিপুন হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় বাঁশ বেত দিয়ে তৈরি বিভিন জিনিসপত্র গৃহশোভাবর্ধণে অতুলনীয় বিশেষ করে বেতের তৈরি নজরকাড়া রকমারি জিনিস সত্যিই চমৎকার ধামইরহাটে এক সময় প্রচুর পরিমাণে বাঁশ পাওয়া গেলেও বর্তমানে বাঁশের উৎপাদন তেমন নেই বললেই চলে বাঁশের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তৈরি সামগ্রী বিক্রি কমে যাওয়ায় কেউ কেউ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন বেকার হচ্ছেন বাঁশ দিয়ে কুলা, ডালা, ঝুড়ি, মাথল, চাটাই, চালন নানা রকম খেলনা প্রস্ততকারক শ্রমিকরাও ধামইরহাট পৌরসভার বাসিন্দা আগষ্ট হেমরম তার স্ত্রী বাঁশ দিয়ে ডালা কুলা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন                                                        

Exit mobile version