সাভারের ধামরাই, আশুলিয়াও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস দূর্নীতি অনিয়মের স্বর্গ রাজ্য পরিণত হয়েছে। এ তিন রেজিষ্ট্রি অফিসে সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দলিল সম্পাদন চলছে অহরহ। এতে করে সরকারের লক্ষ অর্জন ব্যহতসহ জনদুর্ভোগ দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানাযায়, কালিয়াকৈর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার তিনি তার নিজ খেয়াল খুশিমত অফিস পরিচালনা করছে। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করে থাকেন তারই অফিস সহকারী সোহরাব। তিনি সরকারী প্রচলিত নিয়মনীতিকে বৃদ্ধ আঙ্গুলি দেখিয়ে জমির দলিল রেজিষ্ট্রিশন কাজ সম্পাদন করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাব রেজিষ্ট্রার দলিল প্রতি ৫০০-১০০০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে থাকেন। আর যারা এই উৎকোচ দিতে গড়িমসি করে তাদের উপর নেমে আসে নানামূখী হয়রানীও ভোগানিত্মর পালা। এদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাল নাগাদ জমির খাজনা খতিয়ান ছাড়াই জমি রেজিষ্ট্রি করে চলছে। যার বিনিময়ে প্রতি দলিলে ১৫০০-২০০০ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে।
একটি সুত্র জানায়, কালিয়াকৈর এলাকাটি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এলাকা হওয়ায় জমির দাম দিন-দিন হুহু করে বাড়ছে। এই সুযোগে দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর সাব রেজিষ্ট্রার ঝুপ বুঝে কোম মারছে। আর এসব দূর্নীতির সহযোগী দাদা হিসেবে কাজ করছে তারই অফিস সহকারী সোহরাব। যার মাধ্যমে ঘুষয়ের সব টাকা আদায় করে বলে জানা গেছে।
ধামরাই ও আশুলিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিস: ধামরাই ও আশুলিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসেও একই চিত্র। এ দু’ সাব রেজিষ্ট্রার ও তাদের অফিস সহকারীদের মাধ্যমে ইচ্ছা মাফিক হারে উৎকোচ আদায় করছে। যা প্রতিকারের যেন কেউই নেই। জানাযায়, ধামরাই ও আশুলিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে র্দীঘদিন থেকে সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দলিল সম্পাদন কাজ চলছে। আর এসব করা হচ্ছে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়।
অনুসন্ধানে জানাযায়, আশুলিয়া সাব রেজিষ্ট্রার ঘুষ ছাড়া কোন দলিল সম্পাদন করতে চায়না। যদিও বা কোন বড় ম্যাপের নেতার ফোন আসে দলিল করানোর জন্য। তবে তার কপালে আরো নেমে আসে হয়রানীর পালা। যার হয়রানী সহ্য করতে না পারায় অবশেষে বাধ্য হয়ে ঘুষ দিতে হয়। আর এই ঘুষের টাকার গন্ধ আবার যাতে না ছাড়াই সে জন্য সাব রেজিষ্ট্ররার আবার নতুন ফাঁদ ও তৈরি করে রেখেছে। আর তা হচ্ছে স’ানীয় সাংবাদিকরা। স’ানীয় সাংবাদিকদের প্রত্যক মাসে প্রতি জনকে ১০০০ হাজার টাকা করে বখরা দিয়ে দিব্বি দূর্নীতিবাজ সাব রেজিষ্ট্ররা তাদের ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে পার পেয়ে যাচ্ছে দূর্নীতিবাজ সাব রেজিষ্ট্ররা। অপরদিকে সাংবাদিকরাও মোজডুবে ভুরিভোজ করছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। এখন সচেতন জনগণের প্রশ্ন ? সাংবাদিরা সমাজের দর্পন, অন্যায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে সমাজে পরিচিত। কিন’ ধামরাই, আশুলিয়াও কালিয়াকৈরের সাংবাদিকদের এবাখ্যের যেন উল্ট দিক। তাই সচেতন জনগন রব তুলেছে সরিষার ভিতরেই যদি ভুত হয় । তবে ভুত ঝাড়বে কি দিয়ে ।