তবে আসছে আইফোন এবার চলতি ট্রেন্ড থেকে একেবারেই ঘুরে দাঁড়াবে। হয়ে উঠবে ইমার্জিং মাকের্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্মার্টফোন। সঙ্গে সাশ্রয়ী তত্ত্ব তো থাকছেই। তবে সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হবে ফোরজি নেটওয়ার্ক। অর্থাৎ আসছে আইফোনে থাকতে ফোরজি নেটওয়ার্ক সুবিধা।
অ্যাপল গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, এবারে আইফোনের ডিজাইনে বেশ কিছু নতুনত্ব আনা হবে। এতে থাকবে কোয়ালকম চিপ। আর তা চীনের নেটওয়ার্কেও ব্যবহারযোগ্য হবে। এরই মধ্যে বেইজিং ফোরজি ফোরজি লাইসেন্স প্রাপ্তীর জন্য আবেদন করেছে। আর তা চলতি বছরের শেষের দিকেই অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অ্যাপল এবার আইফোনের সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে চীনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও চীনের সবচেয়ে বড় অপারেটর চায়না মোবাইল এ বিষয়ে এখনও অ্যাপলের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করেনি। তবে অ্যাপল-চায়না মোবাইল নিজেদের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষীক বিষয়ে বৈঠক করেছে।
নতুন আইফোন টিডি-এসসিডিএমএ থ্রিজি প্রযুক্তির আধুনিক নেটওয়ার্ক সুবিধাও অবলীলায় উপভোগ করা যাবে। এদিকে চায়না মোবাইল ব্যয়বহুল আইফোন বিপণনে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক ব্যয় করতে একেবারেই নারাজ।
তবে ইমার্জিং মার্কেট ধরতে অ্যাপলকে অবশ্যই চীনের সবচেয়ে বড় অপারেটর চায়না মোবাইলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। এ মুহূর্তে চায়না মোবাইলের ৭৪ কোটি গ্রাহক আছে। ২০০৮ সালে অ্যাপল চীনে প্রথম স্টোর খোলে।
আসছে ফোরজি নেটওয়ার্কে টিডি-এলটিই প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক প্রচলিত এফডিডি-এলটিই নেটওয়ার্কের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী এবং কার্যকর। আইফোন রি-ডিজাইন তত্ত্বে এ দু ঘরানার নেটওয়ার্কের পরিপূর্ণ সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
সিঙ্গাপুরের টেলিকম বিশেষজ্ঞ আনান্দ রামাচান্দ্রান বলেন, আইফোন এবং ফোরজি দারুণ এক প্রাযুক্তিক সম্মিলন হবে। এ দুটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এক হলে ভবিষ্যতের যোগাযোগ দুনিয়ার চেহারায় নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।
এরই মধ্যে অ্যাপলের সিইও টিম কুক এবং চায়না মোবাইলের চেয়ারম্যান শি গুয়োহুয়া সঙ্গে চীনে এসে দেখা করেছেন। তবে এ দু শীর্ষ ব্যক্তির মধ্যে কী আলাপ হয়েছে তা কেউই জানাননি।
অ্যাপল সিইও টিম কুক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরই চীন হবে অ্যাপলের সবচেয়ে বড় মার্কেট। তবে এ অর্জন টিম কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন তা তিনি জানেন না।
সূত্র ঃ অনলাইন