নতুন নির্বাচনের ঘোষণা, থাইল্যান্ডে তবুও বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক:- সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা৷ তারপরও বিক্ষোভ চলছে থাইল্যান্ডে৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, নির্বাচন ‘গণ পরিষদ’-এর অধীনে হতে হবে, বর্তমান সরকারের অধীনে নয়৷ গত নভেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে চলছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা তাঁর ক্ষমতাচ্যুত এবং দেশান্তরিত বড় ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার মতোই দেশ চালাচ্ছেন – এই অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন সুতেপ তাউকসুবান৷ বিরোধী দলীয় সাংসদ সুতেপ তাউকসুবান সংসদ থেকে পদত্যাগ করে আন্দোলনে নামেন ১ নভেম্বর থেকে৷ তাঁর নেতৃত্বে চলমান বিক্ষোভ ব্যাপক রূপ নেয়াতেই চাপের মুখে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক৷ ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘সমাজের নানা অংশ থেকে অনেক মানুষ যখন সরকারের বিরোধিতা করছে, তখন সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া এবং তারপর নির্বাচন আয়োজন৷ থাইল্যান্ডের জনগণই এখন সিদ্ধান্ত নেবে৷” তাঁর এই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য রাজা বুমিপন আদুনইয়াডেটের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইংলাক৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বিক্ষোভ থামাতে পারেনি৷ সুতেপ তাউকসুবানের মুখপাত্র থাওয়ার্ন সেনেয়াম বলেছেন, ‘‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই৷ এ দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে৷” এদিকে বিক্ষোভকারীদের এ দাবিকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে শিক্ষামন্ত্রী চতুরং চাইসায়েং বলেছেন, ‘‘তাঁরা ৭ নম্বর ধারাকে (সংবিধানের) ব্যবহার করতে চাইছে, অথচ, সব মন্ত্রী দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশের ফলে ক্ষমতায় শূন্যতা সৃষ্টি হলেই কেবল এই ধারাটি কার্যকর হওয়ার কথা৷” ২০১১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে পুয়েআ থাই পার্টির নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন করেন ইংলাক৷ দলটি দেশের দরিদ্র অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে খুব জনপ্রিয়৷ অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোর জনপ্রিয়তা শহরাঞ্চলে৷ প্রধানমন্ত্রী ইংলাক নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পরও বিরোধী দলের সাংসদরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন৷ গত ১ নভেম্বর জোট সরকার দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার পরই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ৷ থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর দেশ ছেড়ে যান তিনি৷ দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এসব অভিযোগে মামলাও চলছে৷ সেগুলো থেকে সরকার তাঁকে রেহাই দিতে যাওয়ায় এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বিরোধী দলগুলো৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, থাকসিনের ছোট বোন ইংলাক প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভাইয়ের মতোই দেশ চালাচ্ছেন, সুতরাং ইংলাককে পদত্যাগ করতে হবে৷ তাঁকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচনে যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা৷   খবর DW DEএর

 

Exit mobile version