অনলাইন ডেস্কঃ- ভারতের মুম্বইয়ে সন্ধান মিলেছে এক নরপিশাচ পিতার। নিজের ১৭ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে আরএকে মার্গ পুলিশ গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে তাকে। ১৭ বছর বয়সী মেয়ের ওপর এই হায়েনাপনা একবার দু’বার ঘটায় নি সে। অনেকবার এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে সর্বশেষ ধরা পড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ক্লান্ত হয়ে তার মেয়ে বাসায় ফেরে। তখন ওই পিতারূপী নরপিশাচ ছিল মদপানে মাতাল। সে তার মেয়ের ওপর চড়াও হয়। কিন্তু মেয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে মারধর করে। এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। ওদিকে নির্যাতিতা বার বার এভাবে নির্যাতিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সে আর এমন পাপের ভাগী হবে না। তাই ঘটনার দিন সে পুলিশের হেল্পলাইন ১০০ তে সে ফোন করে কন্ট্রোল রুমে জানিয়ে দেয় সব। এরপরই আরএকে মার্গ পুলিশকে ঘটনা জানায় কন্ট্রোল রুম। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল গিয়ে হাজির হয় ওই বাড়িতে। তারা দু’জনকেই নিয়ে যায় থানায়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, টিনেজ মেয়েকে গত ৬ বছর ধরে ধর্ষণ করে যাচ্ছে ওই ঘৃণ্য পিশাচ। সে তার মেয়েকে আরও হুমকি দিয়ে বলেছে, এ ঘটনা কাউকে বললে তার ঠোঁট কেটে দেয়া হবে। ভারতীয় দ-বিধির ৩৭৬ ধারার অধীনে অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। শুক্রবার তাকে সেউরি আদালতে নেয়া হয়। আদালত তাকে পুলিশি রিমান্ডে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে, নির্যাতিত কনে তার এক ছোট বোন ও ছোট ভাইকে নিয়ে বসবাস করতো। ২০১০ সালে মারা গিয়েছে তাদের মা। ফলে সে যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তা তার পরিবারের অন্য কেউ জানতো কিনা তা কেউ বলতে পারছে না। ভারতে পিতার হাতে কন্যার এমন সম্মানহানী এটিই প্রথম নয়। এর আগে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এ রকম। এ বছরের ২২শে মার্চ দিনদোশি পুলিশ একই রকম অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ৪৫ বছর বয়সী এক পিতারূপী নরপিশাচকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে বার বার তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। হুমকি দিয়েছে এ কথা কাউকে বললে হত্যার। ২০১৩ সালের ২৭শে নভেম্বর। এদিন ১১ বছর ধরে এক কনেকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫০ বছর বয়সী এক পিতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সম্পর্কের কারণে তার ওই কন্যা একটি সন্তান জন্ম দিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইব্রাহিম শেখ। তার বিরুদ্ধে তার ২৬ বছর বয়সী ওই মেয়ে অভিযোগ করে যে, তার আট বছর বয়সী মেয়ের পিতা আর কেউ নয় তার নিজের পিতা। ২০১১ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি। এদিন শিবাজি নগর পুলিশ গ্রেপ্তার করে শাহাবুদ্দিন খান নামে এক ব্যক্তিকে। সেখানেও অভিযোগ একই। শাহাবুদ্দিন নিজের মেয়ের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এতে তার কনে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সূত্র-ইন্টারনেট।