তারেক সাঈদ- আরিফ হোসেন-এমএম রানা ছবি
অনলাইন ডেস্ক:- প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় হাইকোর্টে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও এমএম রানা জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিচারপতি মোহাম্মদ রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল (বুধবার) এ প্রতিবেদন দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডিআইজি আফতাব উদ্দিন। র্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চাকরিচ্যুত র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ এবং অপর দুই কর্মকর্তা সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আরিফ হোসেন ও এমএম রানা জড়িত ছিলেন। তবে তারেক সাঈদ ও আরিফ হোসেন অপহরণ থেকে শুরু করে লাশ নদীতে ডোবানো পর্যন্ত পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলেও এমএম রানা অপহরণ পর্যন্ত আংশিক জড়িত ছিলেন।
একইসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে র্যাব সদর দফতরের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে র্যাব জানায়, ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণেই কাউন্সিলর নূর হোসেন কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে অপহরণ ও খুনের পরিকল্পনা করেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল ও ১ মে শীতলক্ষ্যায় তাদের লাশ পাওয়া যায়।#
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে জড়িতদের দ্রুতবিচারের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবাররা। গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানবাধিকার দিবস-২০১৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের ভাই আবদুস সালাম এ দাবি করেন।