জি নিউজ ঃ সাভারে ভবন ধসে নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে নাশকতা ঠেকাতে পোশাক কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত দু’দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানার সামনে শ্রমিকদের আন্দোলনকে ঘিরে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
“গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে নাশকতা হতে পারে এমন আশঙ্কাতেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
বুধবার সকালে সাভারের রানা প্লাজা নামের ভবনটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ওই ভবনে অবস্থিত ৪টি গার্মেন্টেসের কয়েক হাজার শ্রমিক আটকা পড়ে। নিহত হয় প্রায় তিন শতাধিক। জীবিত উদ্ধার হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি। রানা প্লাজায় হতাহতদের এখনো উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের সু-চিকিৎসা পূর্নবাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করে অন্যান্য গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা, গুলশান-১,মহাখালি, মগবাজার, মিরপুরসহ অন্যান্য এলাকায় বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। সকালের দিকে রামপুরা টিভি ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে সেখানে ভাংচুর চালায় কর্মচারীরা। গুলশান-১ বিক্ষোভের সময় এক প্রাইভেট কার দ্রুত গতিতে চালাতে গেলে কারের ধাক্কায় কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়।
অন্যদিকে সবগুলো ঘটনাকে বিবেচনায় নিয়ে বড় ধরণের নাশকতা ঠেকাতে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির সামনে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেলা ১১টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সামনে পুলিশ মোতায়েন শুরু হয়।