অনলাইন ডেস্ক:- পড়াশোনার খরচ যোগাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরী ছাত্রীরা নিষিদ্ধ জগতে প্রবেশ করছেন। ছাত্রীরা থাকা–খাওয়া আর পড়ার খরচ মেটাতে শরীর বিক্রি করছেন। যুক্ত হচ্ছেন অবৈধ যৌন সম্পর্কে। ধীরে ধীরে এর আসক্তি বাড়ছে। ভয় পাবেন না। বাংলাদেশে নয় এটি ইংল্যান্ডের কাহিনী। সেদেশে ছাত্রীদের মধ্যে ভয়ঙ্কর যৌন আসক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এনিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে দেশটির সরকারও।
ওয়েলেসের স্বানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এনিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রতি ২০ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একজন দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত!!!
এতে বলা হয়, ছাত্রীরা দেহব্যবসা ছাড়াও ইন্টারনেটে সেক্স চ্যাটের মাধ্যমেও রোজগার করে থাকে। প্রধান গবেষক ডা. ট্রেসি সাগর জানিয়েছেন এই বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ রয়েছে। ইউনাইটেড কিংডমের ছাত্রছাত্রীরা সেক্স ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। তবে এদের মধ্যে বেশিরভাগই এই পেশা লুকিয়ে রাখেন ও কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানান না।
গবেষক আরও জানিয়েছেন, এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রছাত্রীরা একেবারেই সুরক্ষিত নন, এমনকি তারা নিজেদের সুরক্ষিত মনেও করেনা। ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পয়সার অভাবে দেহব্যবসার প্রবৃত্তি বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত বিশ্ববিদ্যালয়ও। এই বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে গবেষণায়।
বিগ লটারি ফান্ডের তরফ থেকে এক অনুদানে মোট ৬৭৫০ ছাত্রছাত্রীদের সামিল করা হয়েছিল যাদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ ছাত্র ও সাড়ে তিন শতাংশ ছাত্রী স্বীকার করেছেন তারা দেহব্যবসার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করেন। যদিও ২২ শতাংশের মতামত তারা এই কাজ করার কথা ভাবছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক ছাত্রছাত্রীই বিলাসবহুল জীবনযাপন করার জন্য দেহ ব্যবসা করেন। অনেকে আবার যৌন চাহিদা মেটাতে এই পেশায় নেমেছেন। যদিও কিছু ছাত্র ছাত্রীদের মতে তারা এই পেশা থেকে বেড়িয়ে আসতে চান, কিন্তু বর্তমানে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যলায়ের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সাগর জানিয়েছেন, এই গবেষণা ছাত্রছাত্রীদের দেবব্যবসায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য করা হয়নি। এর একমাত্র উদ্দেশ্য তাদের সাহায্য করা যাতে তারা এই পেশা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। তাঁর মতে, দেহব্যবসা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এনিয়ে সচেতনতা তৈরি করা উচিত। প্রয়োজনে আইন করে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। [সূত্র: মিরর]