পাইকগাছা(খুলনা)ঃ পাইকগাছা থানার এক সহকারী দারোগার বিরুদ্ধে উপজেলার পল্লীতে একটি পরিবারের ওপর চঁড়াও হয়ে গালিগালাজ, মারধর ও হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কালিদাশপুর গ্রামের জনৈক সুলতান গাজীর বাড়িতে অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে। শুধু তাই না ওই দারোগার উপস্থিতিতেই প্রতিপরা সুলতান গাজীর একটি ঘরও ভাঙচুর করেছে। এব্যাপারে তদন্তের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগি মহল।
অভিযোগে জানা যায়, কালিদাশপুর গ্রামের সুলতান গাজীর রেকর্ডিয় জমি দখলকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের এনামুল গাজীর সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। গতকাল সোমবার এনামুল গাজী বাদী হয়ে সুলতান গাজীর পুত্র শফিকুল গাজীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। যার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২৫/০৪/১৩ তারিখ। এদিকে গতকালই দুপুরে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই গোবিন্দ উক্ত অভিযোগের প্রেেিত সরেজমিন পরিদর্শনে যান। অভিযোগ বলা হয়, দারোগা গোবিন্দ সুলতান গাজীর বাড়িতে গিয়ে চঁড়াও হয়ে গালিগালাজ সহকারে আসামীদের নাম ধরে ডাকতে থাকেন। এসময় বাড়ির মহিলারাসহ অন্যান্য লোকজন ভয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। সুলতান গাজীর পুত্র ইকবাল হোসেন (১৮) কে দারোগা মারধর করে বলে ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তারা আরো জানায়, দারোগার সামনেই বাদী (প্রতিপ) এনামুল গাজী ও তার লোকজন সুলতান গাজীর একটি ঘরও ভাঙচুর করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এএসআই গোবিন্দ বাদী কর্তৃক বিবাদীদের একটি ঘরের আংশিক ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেন। তবে আসামীদের কারো মারধর বা গালিগালাজ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। থানার ডিউটি অফিসার হওয়া সত্বেও কিভাবে থানা থেকে এত দূরে গেলেন প্রশ্ন করা হলে এএসআই গোবিন্দ কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে জানার জন্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হকের (সরকারি) মোবাইলে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি