স্পোর্টস ডেক্সঃ-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের বিপক্ষে সাত উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে ভারত। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসহেরে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৩০রান সংগ্রহ করে তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেনদীর্ঘদিন পর দলে ফেরা উইকেটরক্ষক কামরান আকমল। ১০ বলের মোকাবেলায় ২ চারে ৮রান করে তিনি আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে হাস্যকর ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন। ৪৪রানে মোহাম্মদ হাফিজ এবং ৪৭ রানে বিদায় নেন আহমেদ শেহজাদ। ৪৭ রানে ৩ উইকেটপড়ে যাওয়ার পর শোয়েব মালিক আর উমর আকমল ৫০ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তুশোয়েব মালিকের বিদায়ের পর ৩০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলা উমর আকমল দ্রুত ফিরেযান দলকে বিপদে ফেলেই। শহীদ আফ্রিদির ওপর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ব্যর্থতিনিও। শেষের দিকে শোহেব মাকসুদ ১২ বলে ২১ রানের দ্রুতগতির এক ইনিংস খেলেরানটা নিয়ে যান সম্মানজনক স্থানে। ১৫ রান করা হাফিজের উইকেটটি নেন রবীন্দ্রজাদেজা। আহমেদ শেহজাদ স্ট্যাম্প হয়ে সাজঘরে ফেরেন।ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ২২ রানে ২ উইকেটনেন অমিত মিশ্র। এছাড়া ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ সামি আর রবীন্দ্র জাদেজাএকটি করে উইকেট নিয়েছেন। মাত্র ১৩১ রানের মামুলি লক্ষ্যে খেলতেনেমে ভারতীয়রা আস্থার সঙ্গেই খেলে যায়। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান তুলে রোহিতশর্মা আর শিখর ধাওয়ান খেলাটিকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। রোহিত ২১ বলে২৪ আর ধাওয়ান ২৮ বলে ৩০ রান করেন। ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে ফেরান ওমর গুল।এরপর ইনিংসের দশম ওভারে আঘাত হানেন তারকা স্পিনার সাঈদ আজমল। তিনি ২১ বলে ১চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রান করা ওপেনার রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান। এসময় ৯.৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৬৪ রান।দলীয় ৬৫ রানে মারমুখীব্যাটসম্যান যুবরাজ সিংয়ের মূল্যবান উইকেট তুলে নেন বিলাওয়াল ভাট্টি।নিজস্ব প্রথম বলেই তিনি যুবরাজের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন। দলীয় সংগ্রহ তখনছিল ৩ উইকেটে ৬৫ রান।অবশ্য বিরাট কোহলি আর সুরেশ রায়নার পক্ষেশক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বাকি কাজটা সেরে ফেলতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।কোহলি ৩২ বলে ৩৬ আর রায়না ২৮ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৮.৩ ওভারেভারতের বিজয় নিশ্চিত হয়। পাকিস্তানের পক্ষে সাঈদ আজমল ১৮ রানে এবং উমর গুল ৩৫ রানে একটি করে উইকেট নেন। ভারতের পক্ষে দুই উইকেট নেয়া অমিত মিশ্র ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার পান।সূত্র-রেডিও তেহরান