প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি ড্রোন হামলায় গড়ে মানুষ মারা গেছে অন্তত তিনজন। এতে আরো বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের জুন মাস থেকে পাকিস্তানে চালানো মার্কিন ড্রোন হামলায় মোট ২,৩৭৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ৮৪ জন আল-কায়েদার সন্ত্রাসী। বাকি সবাই নিরপরাধ মানুষ।
অথচ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত মে মাসে এক বক্তৃতায় দাবি করেন, ‘আমরা কেবল তখনই ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করি যখন নিশ্চিত হই কোনো গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসীকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। সাধারণ কোনো সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করেও ড্রোন হামলা চালানো হয় না।’
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশ্লেষক তালাত মাসুদ এ সম্পর্কে ইসলামাবাদে ইরানের স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিকে বলেছেন, মার্কিনীরা পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাদের শত্রুকে দুর্বল করতে চায়। কিন্তু এসব হামলায় কথিত শত্রুর চেয়ে বেসামরিক নিরীহ মানুষ বেশি মারা পড়ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাসনিম আসলাম বলেছেন, পাকিস্তান সরকার নিজেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।খবর:রেডিও তেহরান, কাজেই ইসলামাবাদ মনে করে, দেশটির অভ্যন্তরে এ ধরনের বিদেশি হামলার প্রয়োজন নেই।