২৭ জন শিক্ষকের পদোন্নতির দাবিতে গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে শিক্ষক সমিতি প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে। পরে ‘সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে এ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের শিক্ষকেরা সোমবার সকাল ১০টার দিকে চারটি একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেন। পরে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের দাবি, উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবীকে অপসারণ করে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা।সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্যসচিব বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
এদিকে একাডেমিক ভবনে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে নীল দলের শিক্ষকেরা খোলা মাঠে ক্লাস নিয়েছেন। সোমবার বেলা দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত লোকপ্রশাসন, বাংলা, ইতিহাস, হিসাববিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক খোলা মাঠে ক্লাস নেন।
খোলা মাঠে ক্লাস নিয়েছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক গোলাম রব্বানী, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক চিন্ময় রায়সহ আরও অনেকেই।
এদিকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলনের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সভাপতি আপেল মাহমুদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সব অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভয়াবহ সংকটে ফেলছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা।
সংগঠন নীল দলের সভাপতি আপেল মাহমুদ বলেন,অনেক শিক্ষক খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিয়েছেন।’ শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে যেকোনো ন্যায্য দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য আন্দোলনকারী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।