অনলাইন ডেস্ক:- হাটহাজারীতে পিতা–মাতার বিয়ের তারিখের সঙ্গে সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের তারিখের অসামঞ্জস্যতা পাওয়া গেছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য স্থানীয় একটি মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. আবুল হাশেম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে আবেদন করেছেন।
আবেদনের বিবরণে থেকে জানা যায়, উপজেলার বায়তুশ শরফ আর্দশ সিনিয়ার মাদ্রাসার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মো. ইদ্রিছ নামে এক ব্যক্তি তার ছেলে ইফতেখার মাহমুদকে ওই মাদ্রাসার ১ম শ্রেণীতে ১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে ভর্তি করেছেন। মাদ্রাসার ভর্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধনে লিখিত জন্ম তারিখ হল ১৫–১২–২০০৮। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীর পিতামাতার নিকাহ্নামায় বিয়ের তারিখ লেখা হয়েছে ০৬–০৩–২০০৯।
এতে দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থীর জন্মের তিন মাস পরে তার পিতামাতার বিয়ে হয়। আবেদনে বলা হয় ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে মো. ইদ্রিছ অবৈধভাবে ভোটার হওয়ার জন্য ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন। বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের গোচরীভূত হলে পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. আবুল হাশেম বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে আবেদন করেন। অভিযুক্ত অভিভাবক মো. ইদ্রিছ এ প্রতিবেদককে জানান, ষড়যন্ত্র করে তার ছেলের জন্ম নিবন্ধন মাদ্রাসায় জমা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদিকদের জানান, মাদ্রাসায় নানা গোজামিল রয়েছে।খবর:যুগান্তর,এজন্য তিনি একটি তদন্ত কমিটি করে কাগজপত্র দেখতে চাইলে কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন।