পুরুষদের যে আচরণগুলো দারুণ পছন্দ নারীদের

লাইফস্টাইল ডেস্ক :- সদ্য সদ্য কারও প্রেমে পড়েছেন, আর তার পরই জীবনে পাল্টে গেছে সব। অর্থাৎ ক্রাশের পরই পাল্টে গেছে আপনার ব্যবহার, চিন্তা-ভাবনা সবই। অনুভব করছেন, এ সময় এমন অনেক কিছুই করছেন যা কখনও করতেন না। এমনকি শুধু তার মুখটুকু চোখের সামনে ভেসে উঠলেই হেসে ফেলছেন! আবার সে আশপাশে থাকলে সবকাজই গোলমাল হচ্ছে।
ভালো লাগার মানুষটির সামনে যা করা স্বাভাবিক মনে হয়, তা অন্য কারও সামনে রোজ রোজ করলে আপনাকেই সমস্যায় পড়েত হবে। জেনে নিন ক্রাশের পর কোন কোন আচরণ বন্ধুদের সামনে আপনার ভাবমূর্তি পাল্টে ফেলতে পারে-
# ভালো লাগার মানুষটিকে সামনে পেয়েই জগৎ ভুলে শুধু তাকেই দেখে চলেছেন। এই একই কাণ্ড অন্য কারও ক্ষেত্রে ঘটিয়ে দেখুন, কী হয়।
# তার নাম কানে এলেই মুখে হাসি ফুটে উঠে। কিন্তু ৫ জনের সঙ্গে বসে রয়েছেন এবং আপনার গাল হঠাৎ গোলাপি হয়ে গেছে, তা হলে লোকে ভাববে আপনি কোনও সমস্যায় পড়েছেন।
# স্পেশ্যাল সামওয়ানের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই গলার স্বর পাল্টে গেছে। গলা দিয়ে হঠাৎ বাচ্চাদের মতো মিষ্টি আওয়াজ বের হচ্ছে। কিন্তু বন্ধুদের সামনে যদি সেই শিশুসুলভ স্বরে কথা বলেন, তা হলে তাদের মুডের এক্কেবারে বারোটা বেজে যাবে।
# ফোনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আর ভাবছেন, তাকে কী মেসেজ করা উচিত? এত সময় কী অন্য কাউকে টেক্সট করতে লাগিয়েছেন?
# কাঙ্খিত মানুষটি আশপাশে থাকলেই নার্ভাস হয়ে পড়ছেন। কিন্তু অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই সব জড়িয়ে যাচ্ছে এবং বোকা বোকা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলছেন!
# ভালো লাগার মানুষের জীবনে কী ঘটছে, তা জানার সহজ উপায় তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল। তাই ঘণ্টায় ঘণ্টায় তার প্রোফাইল চেক করছেন। এটা কী অন্য কারও ক্ষেত্রে করেন? না।
# আপনিও সেই পারফিউম বা ডিও ব্যবহার করতে শুরু করেছেন, যা তার পছন্দ। এবার ভেবে দেখুন, অন্য কোনও ব্যক্তির শরীরেও সেই একই সুগন্ধ, জানতে পারলেই আপনি সঙ্গে সঙ্গে সেই পারফিউম ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবেন।
# তাদের পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী নিজের পছন্দ-অপছন্দ গড়ে তুলছেন। কিন্তু যদি জানতে পারেন, আপনার পছন্দ বা অপছন্দের জিনিসটি অন্য কারওর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, তা কিন্তু আপনার ভালো লাগবে না।
# কাঙ্খিত ব্যক্তিটিকে একবার দেখতে তার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার অজুহাত খুঁজতে থাকেন। কিন্তু তার পড়শিরা যদি দেখেন রোজ একটি নির্দিষ্ট গাড়ি তাদের পাড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঘোরাফেরা করছে, তা কিন্তু তাদের এক্কেবারেই ভালো লাগবে না।
# কাঙ্খিত ব্যক্তিটির গলার স্বর শোনার জন্য তার সঙ্গে কথা বলার অজুহাত খুঁজতে থাকেন। তবে স্বাভাবিক ভাবে আপনি যদি প্রতি ২ মিনিট অন্তর ক্যান্টিনের ছেলেটির সঙ্গে কথা বলতে যান, তা হলে সে নিজের শিফ্ট অন্য কারও ঘাড়ে চাপিয়ে কেটে পড়বে। সূত্র:ওয়েবসাইট

Exit mobile version