সমঝোতায় বলা হয়েছে বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো পোষাক ক্রয় করবে সেসব কারখানায় তারা নিয়মিত পরিদর্শন ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে। এ চুক্তির লংঘন হলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। সাভার ট্র্যাজেডির ঘটনার তিন সপ্তাহ পরেই এ ধরণের একটি চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হলো।
ইন্ড্রাস্ট্রি অল গ্লোবাল ইউনিয়ন এবং ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়ন নামের দুটি ক্যাম্পেইন গ্রæপের তৈরি এ খসড়ায় সই করার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আজ বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এ চুক্তির উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তা ¯^াধীনভাবে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা, আর এ নিরাপত্তা পরিদর্শনের খরচ দিতে বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোকে বাধ্য করা। চুক্তিতে যেসব ব্র্যান্ড ¯^াক্ষর থাকবে কমিটিতে তাদের প্রতিনিধি থাকবে, আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নগুলোর প্রতিনিধি থাকবে। এ চুক্তির অধিনে একটি স্টিয়ারিং কমিটিও গঠন করা হবে।
ইন্ডাস্ট্রি অল গ্লোবাল ইউনিয়নের একজন পরিচালক জেনি হোল্ডক্রপ্ট বলেছেন, এ চুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো একটি নামকরা ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নগুলোর একটি যৌথ উদ্যোগ কিন্তু এতে সমš^য়কারি হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আই এল ও-র বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকবে।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানায় নিরাপত্তার জন্য এর আগেও এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বিশেষ করে তাজরীন ফ্যাশন্সে গত বছরের অগ্নিকান্ডের পর তবে আগের উদ্যোগের সাথে সর্বশেষ এই সমঝোতার তফাৎ হলো এবার সম্মিলিতভাবে এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গিকার করা হচ্ছে।
তবে জেনি হোল্ডক্রপ্ট বলেন এ পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনো ঠিক হয়নি কিন্তু সবাই চুক্তিতে অঙ্গিকার করছে যে কারখানা পরিদর্শনের একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে এবং স্টিয়ারিং কমিটির মাধ্যমেই তার তদারকি করা হবে। তিনি বলেন এর বিস্তারিত আজ প্রকাশ করা হবে।
জহিরুল ইসলাম রেমন/ডেপুটি এডিটর/ জি নিউজ