তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রকৌশলীদের তিনটি চ্যালেঞ্জ : উন্নয়নকে টেকসই, সবুজ ও ডিজিটাল করা। তবেই একুশ শতকের বাংলাদেশকে বাসোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। তিনি বলেন, প্রকৌশলীরা এমন দক্ষ মানুষ, যারা বিয়োগকে যোগে পরিণত করতে পারে। তাই প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে সমাজ চলে না।
ইনু বলেন, আমি রাজনৈতিক কর্মী। আমি একজন সামাজিক প্রকৌশলী। বাংলাদেশের সামাজিক প্রকৌশলী এবং আসল প্রকৌশলীদের মাঝে একটি যোগসূত্র তৈরি না হলে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে সামাজিক প্রকৌশলীরা ভুল করে; কিন্তু প্রকৌশলীরা যদি ভুল করে তাহলে সমাজ টিকে না, বিপর্যয় ঘটে। এই সমাজের প্রতি প্রকৌশলীদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।
তিন দাগে ঘেরা বাংলাদেশে আগুন সন্ত্রাসী দানবদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আগুন সন্ত্রাসী দানবদের এই উৎপাত মানবদের মোকাবিলা করতে হবে। তিন দাগে ঘেরা বাংলাদেশকে শান্তির বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তরুণ-প্রবীণদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মাইকেল অ্যাঞ্জেলের কথায় আছে, উচ্চ লক্ষ্য স্থির করবো, তা অর্জন করতে না পারলে কোনো অসুবিধা নেই; নিচে লক্ষ্য স্থির করলে আমরা বিপদে পড়বো। তিনি বলেন, উপত্যকার গায়ে দেবদারু হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন। যদি দেবদারু গাছ না হতে পারেন, উপত্যকার ঝোঁপ হবেন। তাও যদি হতে না পারেন, একমুঠো ঘাস হবেন। সেনাপতি হওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি না হতে পারেন, সেনা হবেন। রাজপথ হবার চেষ্টা করবেন, না হতে পারলে সরু গলি হবেন। একটা কিছু হতেই হবে। আর এভাবেই জীবনটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং স্বল্পকালীন শিক্ষক অভিজিৎ রায়ের হত্যার নিন্দা ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব বুয়েট অ্যালামনাই-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বুয়েটের সাবেক ভিসি ড. এম. এইচ. খান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম। বক্তব্য রাখেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অ্যালামনাইয়ের মহাসচিব সাদেকুল ইসলাম ভুইয়া, প্রকৌশলী মুনির উদ্দিন আহমদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার ইমাম উদ্দিন চৌধুরী।
দিনব্যাপী এ মিলনমেলায় প্রকৌশলীদের কৃতি শিক্ষার্থী সন্তানদের পুরস্কার প্রদান করা এবং বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।