অনলাইন ডেস্ক, জি নিউজঃ- নাটোরের – গুরুদাসপুরে প্রাইভেট পড়তে রাজি না হওয়ায় শনিবার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র তারেক ও সৈকতসহ কমপক্ষে ১০ জনকে বেত্রাঘাতে রক্তাক্ত জখম করেছেন প্রধান শিক্ষক গোলাম মর্তুজা আলী। এ ঘটনায় প্রহৃত তারেকের বাবা প্রভাষক আবদুল মালেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, গুরুদাসপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মর্তুজা আলী ওই স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ান। প্রহৃত ছাত্ররা তার কাছে প্রাইভেট পড়তে রাজি না হওয়ায় তাদের তিনি মাঝে মধ্যেই বেত্রাঘাত করতেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকরা স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে অবহিত করেন। এতে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার ক্লাস চলাকালীন তাদের প্রহার করেন। ঘটনার পর থেকে তারেক ও সৈকতসহ তাদের সহপাঠিরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাদের অভিভাবকরা। এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক গোলাম মর্তুজা আলী বলেন, পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় তাদের বেত্রাঘাত করা হয়েছে। আমি যেহেতু ক্লাসে তাদের সুন্দরভাবে বোঝাই সেহেতু তাদের পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুস সাত্তার মাস্টার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষানীতি বহির্ভূত কাজ করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক। অবশ্যই তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়ে ছে। সূত্র : ইন্টারনেট,