অনলাইন ডেস্কঃ- বৃদ্ধি পাচ্ছে পর্ণো ভিডিও, প্রেমের আড়ালে কুমারীত্ব হারাচ্ছে মেয়েরা! বর্তমানে আমাদের দেশে প্রেমের আড়ালে যে সব অপকর্ম হচ্ছে তা পশ্চিমাদেরও হার মানিয়েছে। প্রেমের আড়ালে নারী দেহ ভোগ চলছে। বিভিন্ন পার্কে বা হোটেলে আমাদের অতি আধুনিক তরুণ তরুণীরা প্রেমের নামে মিলিত হচ্ছে শাররিক সম্পর্কে।শুধু এখানেই শেষ নয়? মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করছে। এসব ভিডিও কম্পিউটার এর মাধ্যমে পৌছে যায় সবার হাতে। অবাধে মোবাইলে কপিরাইট হচ্ছে সারাদেশের কম্পিউটার দোকানগুলোতে ভিডিও, গান লোড এর আড়ালে চলছে পর্ণো ভিডিওর ব্যবসা। পর্ণো ভিডিও দেখার প্রতি আসক্ত শিশুরাও। বিষয়টি ঘৃণার নয় লজ্জারও বটে। সমাজের ছোট বড় সব বয়সের ছেলে মেয়েরা দেখতে থাকে অতি আধুনিক প্রেমিক প্রেমিকাদের দ্বারা তৈরী করা ভিডিও। তবুও দেখার কেউ নেই। এমন কি প্রেমিক প্রেমিকাদের হাতে তৈরী করা এসব নোংরা ভিডিও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মেমোরি কার্ডে কপি হচ্ছে বিদ্যুৎ গতিতে। বিদেশি পর্ণো ভিডিও নয় আমাদের দেশের পর্ণো ভিডিও দিয়েই সয়লাব প্রতিটি কম্পিউটার।কম্পিউটারের দোকানে অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রেমিক প্রেমিকাদের দিয়ে তৈরি করা হাজার হাজার ভিডিও। এর মধ্যে ৯৯ ভাগ ভিডিওই হচ্ছে স্কুল কলেজের পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের। এসব ছাত্র ছাত্রীদের এসব নোংরা কাজে লিপ্ত আছে। এক হাজারের বেশী ভিডিওতে ছাত্রীর নিজ ইচ্ছেই মিলিত হয়েছে শারীরিক সম্পর্কে। একটি ভিডিও তে দেখা যায় মেয়েটিকে পাঁচ মিনিটের কথা বলে প্রেমিকের বাড়ীতে আনা হয়। তারপরে জোর করে নগ্ন করে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা হয়। মেয়েটি নগ্ন ভিডিও করা থেকে রেহাই পেতে প্রেমিকের কথা মতো শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। কিন্তু এইটি প্রথম বার নয়? এর আগেও তারা বেশ কয়েক বার মিলিত হয়েছিল। সেটা তাদের কথা থেকে বুঝা যায়। সব চেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো যত গুলো ভিডিও একটি ভিডিও তেও কোনো ছেলের মুখ দেখানো হয়নি। তার মানে এই সব ভিডিও করা মেয়েদের কে ব্ল্যাকমেইল অথবা ফ্রি সেক্স করার জন্য বাধ্য করা হয়েছে। কিছু ভিডিওতে ইচ্ছাকৃতভাবে মিলতে দেখা গেছে।সূত্রমতে, উঠতি বয়সের এসব ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজের পোষাকে রাজধানীর বিভিন্ন পার্ক, হোটেল, জাতীয় সংসদের সামনে ও বিনোদন স্পট গুলোতে আপত্তিকর অবস্থায় প্রায়ঃশই দেখা যায়। তাই দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সমাজ বিজ্ঞানী,শিক্ষক ও অবিভাবকরা সন্তানদের ভাবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজধানীর অভিজাত একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, বর্তমান ছেলে-মেয়েরা ক্লাশে-স্কুলে যা করছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। এসব বন্ধে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। প্রশ্ন হলো দেশে এতো অঘটন ঘটতেছে, প্রশাসন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়, আর এদিকে নারীদের জীবনে অনাকাঙ্খিত ঘটনা বেড়েই চলছে।রাজধানীর একটি পার্কে কলেজ পড়–য়া এক জোড়া তরুণ-তরুণীকে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে দেখে এ প্রতিবেদক তাদের প্রেমের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, একাধিক বার তারা দৈহিক মেলামেশা করেছে। তারা বলেন, প্রেম ছাড়া আধুনিক জীবন ভাবা যায়? তাদের একটি ছবি নিতে ছাইলে তাতে রাজি হননি। অথচ নারী সম্মান রক্ষার কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনা। এদেশের নারী অধিকার বাদীদের শুধু ইসলামের বেলাই কথা বলতে শুনা যায়। অন্য কিছুর বেলা কথা বলতে গেলে তাদের মুখে তালা পড়ে যায়। ইসলাম নারী সম্মান রক্ষা করার জন্য পর্দা করার কথা বলে, বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাহির হতে নিষেধ করে। বেগানা পুরুষদের সাথে গোপনে বা প্রকাশ্যে দেখা সাক্ষাত বা কথা বলতে নিষেধ করে। আর যারা নারী সম্মান লুট করে? যেসব নারীরা স্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে ইজ্জত হারিয়েছে? বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে ফ্রি সেক্স করে সতীত্ব হারিয়েছে? যে সমস্ত কুলাঙ্গাররা প্রেমের ফাঁদ ফেলে নারীদের দেহ ভোগ করে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে মেয়েদের সম্মান ধূলায় মিশিয়ে দিচ্ছে। যেসব নারীরা যৌন কেলেঙ্কারী তে ইজ্জত হারিয়েছে এবং সমাজ থেকে মুখ লুকিয়েছে? এই কুখ্যাত নারী অধিকার দাবীয়ালা নারী বাদীরা কি তাদের হারানো ইজ্জত ফিরিয়ে দিতে পারবে? যে সমস্ত কুলাঙ্গারা প্রেমের নামে নারীর দেহ ভোগ করতেছে? সে পরবর্তীতে এই নারীকে বিয়ে করবে? না করলে মেয়েটির জীবনের অবস্থা কি হবেএকটু ভাবুন। জানিনা এই মূর্খ নারীরদের কবে বুঝ হবে? সূত্র-ইন্টারনেট।