বগুড়া ব্যুরো : সমমনা ইসলামী ১২ দলের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালের শুরুতেই পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তবে এতে কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে। মিছিল ছত্রভঙ্গ হবার পর পুলিশ পাড়া মহল্লায় ঢুকে মসজিদ মাদরাসায় এবং বাসাবাড়িতে ব্যাপক তল্লাসী চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃতদের পুলিশ বেদম মারপিটে আহত করেছে।
সকাল থেকে শানিত্মপুর্নভাবে ও স্বতস্ফুর্ত হরতাল চলাকালে বগুড়ার এরুলিয়াতে পিকেটারা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে সেখানে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। অপরদিকে শহরের খান্দার এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের হলে সেখানেও পুলিশ গুলি ছুড়লে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের গুলিবর্ষনের প্রতিবাদে এলাকার বিক্ষুব্ধ নারী পুরম্নষ বেলা সাড়ে ১০টায় গোদার পাড়া বাজারে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়ক অবরোধ। এসময় পুলিশ বেশ কয়েকরাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধরা পুলিশকে ধাওয়া করে। এরপর সেখানে কাঠের গুড়ি ফেলে টায়ার জ্বেলে মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
হরতালের সমর্থনে ফজরের নামাজের পরপরই শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে পিকেটাররা। বগুড়ার প্রথম ও দ্বিতীয় বাইপাসের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বেলে ও কাঠের গুড়ি ফেলে মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছে ।
আজকের হরতালে বগুড়া কেন্দ্রীয় বাসটার্মিাল থেকে দুরপাল্লার ও আন্তজেলার কোন যানবাহন চলাচল করছে না। দোকানপাট অফিস আদালত ব্যাংকবীমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছু বন্ধ আছে।
শহরের বাইরে ১২টি উপজেলায় শান্তিপুর্নভাবে হরতাল চলছে। তবে সোনাতলায় পুলিশ জোড়গাছা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুল লতিফকে গ্রেফতার করেছে। আওয়ামী লীগের হরতাল বিরোধী মহড়া কিংবা কোন প্রকার মিছিল সমাবেশ হয়নি।
সম্পাদনা/শাবানা মন্ডল /১৮.৪৩ঘ /২৪ফেব্রুয়ারি