বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত সুন্দরগঞ্জে ফসলি জমি নির্মজ্জিত

গোলজারsundorgonj রহমান, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতাঃ অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তার পানি ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় নিচু এলাকা সমুহ প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে করে এক হাজার ১৭ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল জমি আংশিক ও সম্পূর্ণরুপে নির্মজ্জিত হলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, অসময়ের এই বন্যা পরিস্থিতিতে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৭১ হেক্টর সবজি ক্ষেত, ১৮৫ হেক্টর আমন বীজতলা, ৬৩৯ হেক্টর তোষাপাট এবং ১০২ হেক্টর আউশ ধান ক্ষেত (পারিজা) নির্মজ্জিত হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ওই সব ফসলি জমির ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বিশেষ করে উপজেলার তারাপুর, হরিপুর, বেলকা, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত হওয়ায় ওই সব ইউনিয়ন ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। গত ২ দিন থেকে বৃষ্টি-বাদল না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরবর্তীত রয়েছে। চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে জানা গেছে, তিস্তার অব্যাহত ভাঙ্গনে এ পর্যন্ত ২৫০টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে পড়েছে। অপর দিকে ৫ শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনে মুখে দাড়িয়ে রয়েছে। পানি বন্দি ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব, বিশুদ্ধ পানিয় জলের অভাব। এছাড়া পরিবার গুলো গৃহ পালিত পশু-পাখি নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হাই মিলটন জানান, যে সকল পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই বিতরণ করা হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যার এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বীজ তলাসহ অন্যান্য নিমজ্জিত ফসলের ক্ষেত বিনষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।

Exit mobile version