পুরো সাক্ষাৎকারটি উপস্থাপন করা হলো- রেডিও তেহরান: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসুষমা স্বরাজের সফরকে শুভেচ্ছা সফর বলা হলেও বাংলাদেশের সরকার থেকে শুরুকরে সবাই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কেন এই গুরুত্ব? আর এ সফরকে ভারতের দিকথেকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হচ্ছে? মাহফুজ উল্লাহ: বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যেবিরাজমান যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি আমরা সুষমা স্বরাজেরসফরকে বিশ্লেষণ করি তাহলে বিষয়টি উপলব্ধি করা অনেক সহজ হবে। ভারতেরপররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সফর সম্পর্কে বাংলাদেশের মূল আগ্রহের কারণহচ্ছে-ভারতে যখন কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন তারা বাংলাদেশের একটিদলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় এবং তা তৈরি করে। এ বিষয়টি গত ৫ জানুয়ারিরনির্বাচনের আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফরের সময় আরো উলঙ্গভাবেপ্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল মনে করে বাংলাদেশেরশান্তিপূর্ণ বিকাশের জন্য ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রয়োজন। আর ভারতে যারাআছেন তারা মনে করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যেসাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যেসব কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা ভারতের নতুনসরকারের জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্বস্তির কারণ হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনসফরের সময় মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশ চীনের নেতৃত্বে গঠিত এশীয়ারঅংশীদার হতে চায়। এ বিষয়টি ভারতের নীতিনির্ধারকরা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারত থেকে দূরে সরে আসবে কি না; বাভারতের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি হবেসে বিষয়টি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে মোদী সরকারের সামনে দুটিঅগ্রাধিকারের বিষয় রয়েছে। একটি হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিকপরিস্থিতিকে মোকাবেলা করা। তারা নির্বাচনের সময় যেসব প্রতিশ্রুতি জনগণকেদিয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন করা। আর অন্যটি হচ্ছে আশপাশের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেসম্পর্ক উন্নত করা। কারণ কোনো দেশই উন্নতি করতে পারে না যদি না তারপ্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকে। তবে এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য- সেটিহচ্ছে সুষমা স্বরাজের সফরকে কেন্দ্র করে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বলাহয়েছে যে এই সফর সম্পর্কে বাংলাদেশ যেন কোনো বক্তৃতা-বিবৃতি না দেয়। সফরেরফলাফল সম্পর্কে যা দেয়ার তা ভারতের দিক থেকেই দেয়া হবে। এর কারণ হচ্ছেএধরণের কূটনৈতিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ প্রায়শঃ সংবাদ সম্মেলনে যেসব বক্তব্যবা বিবৃতি দেন তাতে সত্যের বিকৃতি ঘটে। কিছুদিন আগে আমরা লক্ষ্য করেছিবাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠকের পরবর্তী পর্যায়েজাতিসংঘ নতুন করে বিবৃতি দিয়ে বলেছে আসলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কিকথা হয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আগে যেসব কথা বলেছিলেন জাতিসংঘেরপরবর্তী বিবৃতিতে সেসব কথা পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। বাংলাদেশেরকূটনৈতিক চালের ক্ষেত্রে বা চলাচলের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ব্যর্থতা বলেআমার কাছে মনে হয়। এক্ষেত্রে যদি কখনও প্রতিকূল পরিস্থিতি হয় তাহলেবক্তব্য এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে কিন্তু সত্যের অপলাপ ঘটালে পরবর্তী পর্যায়েযাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের যে কথা চিন্তা করা হচ্ছে সে সম্পর্ক উন্নতকরা যাবে না। অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির একটাবৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১৯৭১ সালে যতোটা না বাংলাদেশের মুক্তির জন্য তারচেয়ে বেশিভারতের ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে তারা আমাদের মুক্তি যুদ্ধকে সমর্থনজানিয়েছিল। আবার দেখুন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ভারতের নীরবতা চোখে পড়ারমতো। একইসঙ্গে তখন যে নতুন সরকার এসেছিল সেই সরকারকে উত্তপ্ত করার জন্যভারত তার ভূ-খণ্ডে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের স্বশস্ত্র সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশেরওপর আক্রমণের সুযোগ করে দিয়েছিল। আবার আমাদের শান্তিবাহিনীকে তারা আশ্রয়দিয়েছিল। কাজেই ভারতের নীতির মধ্যে কতগুলো বৈপরীত্য আছে। কিন্তু সাম্প্রতিকসময়ে সম্ভবত ভারতের কর্তৃপক্ষ বুঝতে শুরু করেছে যে এই ধরনের কাউকে মাসলটুইসটিং করার মাধ্যমে কূটনৈতিক সাফল্য আসে না। তবে এখানে যে বিষয়টি খুবইগুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে ভারত এই অঞ্চলে তার আধিপত্য বজায় রাখার অত্যন্তসচেষ্ট। সেক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব আছে তবে তা শক্রতাপূর্ণ নয়।অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বটা অনেক বেশি প্রকট এই অঞ্চলেরআধিপত্যের ব্যাপারে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্বটা আন্তর্জাতিক বলয়ের ক্ষেত্রে বৈরীমূলক সেকারণে আমেরিকা মনে করে ভারত এবংচীনের সঙ্গে যে আতাঁত সেখানে বাংলাদেশ একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে বাংলাদেশ যদি অনেক বেশি করে চীন এবংজাপানের কাছে চলে যায় সেটা আবার ভারতের জন্য কিছুটা সংকট তৈরি করবে। কারণভারতের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের মতো। সেটাকেকমানোর জন্য ভারত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর যদি সেটি কমাতে হয় তাহলে দেখাযাচ্ছে ভারত বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা বা সুবিধা দেয়ার ব্যাপারে তারাসিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারকে যদি ভারতেরঅর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাতে হয় তাহলে অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু ব্যাপারে তাকে ব্যস্তথাকতে হবে। এই মুহুর্তে ভারতের সঙ্গে বাইরের কোনো দেশের খুব বেশি বৈরীসম্পর্ক নেই। আফগানিস্তানকে যদি আমরা বাদও দেই তাহলে আশেপাশের প্রতিবেশীরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভারতের বৈরী সম্পর্ক নেই। আবার অন্যদিকে ভারতের সঙ্গেএকমাত্র সম্পর্ক আছে ভুটানের যেখানে মোদী প্রথম সফরে গিয়েছিলেন। ভুটান ছাড়াআর সবগুলো দেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংকট আছে। আর সে অভ্যন্তরীণ সংকটটাভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। আর এ বিষয়টা- শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল এবংবাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশের জন্য যেটি সবচেয়ে সহজ পন্থা হবে সেটি হচ্ছেবাংলাদেশের সব দলকে বুঝতে দেয়া যে ভারতের বর্তমান সরকার বাংলাদেশের জনগণেরসঙ্গে বন্ধুত্ব চায় এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায়। কোনো বিশেষদলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় না। আর এটি শুক্রবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনেরসঙ্গে বৈঠকে তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বিএনপিচেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এর আগেও বৈঠক হয়েছে। তারা পরস্পরের পূর্বপরিচিত। ফলে তাদের সঙ্গে যেসব কথাবার্তা হয়েছে তা অত্যন্ত আন্তরিক হয়েছে। রেডিও তেহরান: সুষমা স্বরাজের এ সফরকেকেন্দ্র করে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। তবে তিনি কি বার্তা নিয়ে গেছেন মনেহয় এমন প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে। আপনার জানা মতে- সুষমার মূল বার্তা কি ছিল? মাহফুজ উল্লাহ: দেখুন আমরা সবসময় জল্পনাকল্পনা করতে ভালোবাসি। এর আগেও বিভিন্ন সময় এমনটি দেখা গেছে। মার্কিনপররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন যখন ঢাকা সফরে এসেছিলেন তখন বা তারপরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছেনতখন এরকম জল্পনা কল্পনা করতে দেখেছি। এর কারণ হচ্ছে মূল যে খবর সেখানেআমাদের প্রবেশ খানিকটা সীমিত। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম রয়েছে।আমার মনে হয় যে ভারত এই মুহুর্তে বাংলাদেশকে দুটি বার্তা পৌঁছে দেয়ারচেষ্টা করবে। এর একটি হচ্ছে ভারতের বর্তমান সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশেরখুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় নেই। দ্বিতয়ি বিষয়টি হচ্ছে ভারত আশা করবেবাংলাদেশে ইনক্লুসিভ ইলেকশনের মাধ্যমে এখানে ডেমোক্রেটিক প্রসেসটা যেনসামনে এগিয়ে যায়। কারণ মোদী নিজেও অভ্যন্তরীণভাবেও একটা ইনক্লুসিভডেমোক্রেসির পক্ষপাতি। সেরকমই একটা বার্তা সুষমা স্বরাজ দেয়ার চেষ্টাকরেছে। রেডিও তেহরান: ভারতে সরকার পরিবর্তন হওয়ারপর অনেকে বলাবলি করেছেন যে, বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে। সুষমার ঢাকা সফরেরসময় এমন কি কিছু দেখা গেল? মাহফুজ উল্লাহ: নিঃসন্দেহে ভারতে সরকারপরিবর্তনের পর বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়বে। তবে তা এখনই নয় আস্তে আস্তে বোঝাযাবে। ভারতের বর্তমান সরকার নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সব দলের সঙ্গে সম্পর্কতৈরি করতে চায় বা সম্পর্ক রাখতে চায়। আর সেজন্য নিঃসন্দেহে তারা বাংলাদেশেরনির্বাচন সম্পর্কে কথা বলবেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশের বাইরে এখনপ্রচুর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যদি অল ইনক্লুসিভইলেকশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হন বা গোয়ার্তুমি করেন তাহলেসরকারের ওপর অনেক চাপ আসবে। আমার অনুমান যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত এই ব্যাপারেএকটা ফয়সালায় পৌঁছানোর জন্য তারা চেষ্টা করছেন। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রবাংলাদেশে একটা অল ইনক্লুসিভ ইলেকশনের ব্যাপারে অভিন্ন পদক্ষেপ বাসিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। রেডিও তেহরান: অন্য রাষ্ট্রের বা সরকারেরসমর্থন পাওয়াটা সবসময় কূটনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্ষিয় হিসেবেবিবেচিত। সে ক্ষেত্রে সুষমা স্বরাজের এ সফরের সময় কি আওয়ামী লীগ সরকার কিসেটা করতে পেরেছে বলে মনে হয় আপনার? মাহফুজ উল্লাহ: সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশসফরে ভারতের সমর্থন পুরোপুরি পাওয়ার জন্য যে কূটনীতি সেটা সরকার করতেপেরেছে কি না তা এখনই বলা সম্ভব না। এটি বোঝার জন্য আমাদেরকে আরো কিছুদিনঅপেক্ষা করতে হবে। তবে যেমন ধরেন নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণেরসময় আমাদের স্পিকারকে পাঠানো হয়েছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সেটিকূটনৈতিকভাবে পুরোপুরি সঠিক হয়েছে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। যেহেতুআমাদের প্রধানমন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত জাপান সফর ছিল সে কারণে আমরা আমাদেররাষ্ট্রপতিকে পাঠাতে পারতাম। তো কূটনীতির ক্ষেত্রে এগুলো বিভিন্ন ধরণেরবার্তা বহন করে। ভারতে বাংলাদেশের যে নতুন হাইকমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে তিনিকতখানি সেখানে পূর্বপরিচিত বা যোগাযোগ রাখেন সেটাও দেখার বিষয়। কাজেইসামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে আমাদেরকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। রেডিও তেহরান: কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীনইউপিএ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু বিজেপিরবিরোধিতার কারণেই মূলত সে চুক্তি দেশটির সংসদে অনুমোদন করা সম্ভব হয় নি।এখন সেই বিজেপি রাষ্ট্র ক্ষমতায়। আপনার বিশ্লেষণ কি? মাহফুজ উল্লাহ: আমার মনে হয় যে বিজেপিরাষ্ট্রক্ষমতায়, কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই এভাবে দেখার চেয়েও ভারতের অভ্যন্তরীণরাজনীতির যে ডায়নামিকস আছে সে দৃষ্টিতে দেখলে বিষয়টি বোঝা সহজ হবে। কারণএটা শুধু বিজেপি এবং ইউপিএ বা কংগ্রেসের বিষয় নয়। এরমধ্যে আরো অন্যান্যরাজনৈতিক শক্তি আছে। একটি বড় দেশ তার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অনেক সময় অনেকবিরোধ জিইয়ে রাখে অন্যক্ষেত্রে দরকষাকষি করার জন্য। ভারতের আমলাতন্ত্র এবংগোয়েন্দা তথ্যও এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই খুব শিগগিরি সমাধান হয়েযাবে এমনটি আমি মনে করি না। কারণ সংবিধান সংশোধন না করে ভারত সরকার এটাকরতে পারবেন না। কারণ ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থায় অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা আছে। রেডিও তেহরান: সুষমা স্বরাজ ঢাকায় আসারএকদিন আগে বাংলাদেশীদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেমোদি সরকার। গত বছরের এ সিদ্ধান্ত বাতিলকে আপনি কিভাবে দেখেন? বাংলাদেশপ্রশ্নে কি এটা কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত? মাহফুজ উল্লাহ: এটা কি সিদ্ধান্ত বাতিলহওয়া না আদৌ এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি। আমি যতটুকু খবর পড়েছি তাতেআমার ধারণা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় নি-বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্ভবত একটাপ্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বা অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আর ভিসার বিষয়টির ব্যাপারেযদিও বলা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিন্তু আসলে ব্যাপারটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে। তারা এ বিষয়টিকে ভারতের নিরাপত্তার জন্যপুরোপুরিভাবে হুমকিমুক্ত বলে মনে করছে না। যে কারণে তারা বিষয়টিকে পিছিয়েরাখছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে এ ব্যাপারে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া হয় সেটাও দেখারচেষ্টা করছেন। সেজন্যেই এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে আমি মনে করি না যে খুব শিগগিরিবাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভিসা জটিলতার কার্যকর সমাধান হবে। বাংলাদেশেরসঙ্গে শুধু ভারত কেন অনেক দেশের সঙ্গেই ভিসা সমস্যা তৈরি হয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ভিসা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এটি আমাদের কূটনৈতিকব্যর্থতার ইঙ্গিত বলে আমি মনে করি। রেডিও তেহরান: সুষমা স্বরাজের সফরের সময়গুরুত্বপূর্ণ -তিস্তা চুক্তি, সীমান্ত চুক্তি এবং অনুপ্রবেশ নিয়ে যে সবআলোচনা হয়েছে তাতে ইতিবাচক কোনো জায়গায় পৌঁছানো গেছে কি না। মাহফুজ উল্লাহ: আলোচনায় নিঃসন্দেহে এসববিষয় সামনে এসেছে। কিন্তু আমার মনে হয় না উভয়পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে খুবদ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত হবে। বিশেষ করে করে ভারতের পক্ষ থেকে। এটি এভাবে আরোকিছুদিন থাকবে তারপর পুরো বিষয়টিকে আমরা কিভাবে দেখি তারওপর নির্ভর করবে।খবর-রেডিও তেহরান, আমার মনে হয় এখানে একটি অল ইনক্লুসিভ নির্বাচনের সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িয়েযাবে।